সারা শহরে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অথচ ভবন মালিকরা সতর্ক হচ্ছেন না। আমরা ইতোমধ্যে নির্মাণাধীন ভবনগুলো চিহ্নিত করেছি যেগুলোতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এসব ভবন মালিকদের সতর্ক করার পরও তারা সতর্ক না হওয়ায় এখন তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনকালে একথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
মেয়র বলেন, স¤প্রতি এডিস মশা বাড়ায় দক্ষিণ সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান। যতক্ষণ পর্যন্ত এগুলো নির্মূল না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বসে থাকতে পারি না। তবে কিছু বাড়ির মালিক আছেন যারা এ বিষয়ে কোনোরকম সতর্ক না, তাদের কারণে আমাদের কাজ আরও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা নির্মাণাধীন বাড়ি চিহ্নিত করেছি, তবে সব ভবনে এডিস মশার লার্ভা নেই। তাছাড়া আমরা সব জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি ছিল, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবে কাজ হচ্ছে। মশার ওষুধ আমদানি বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নতুন ওষুধ আমদানিতে কিছু জটিলতা ছিল, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা দূর হয়েছে। আশাকরি শিগগিরই নতুন ওষুধ আনতে পারবো। কতদিন পর আসতে পারে- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও তিনি বলেন, প্রয়োজনে প্লেনযোগে আনা হবে ওষুধ। এসময় তিনি শান্তিনগর এলাকায় নির্মাণাধীন দু’টি ভবনে এসিড মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন দু’টিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ এরফানকে নির্দেশ দেন।
নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, ডিএসসিসি’র কাউন্সিলরসহ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন