অনেক দিন থেকেই পল্লী বিদ্যুতের মিটার নিয়ে কত কথা হচ্ছে। প্রিপেইড মিটার আসার পর থেকেই অনেক ধরনের অভিযোগ এই মিটারের বিপক্ষে। বিশেষ করে আগের মিটারে যে পরিমাণ বিল আসতো অনেকের অভিযোগ প্রিপেইড মিটারে তার চেয়ে অনেক বেশি বিল আসছে এবং এতে করে গ্রাহককে বেশি টাকার বোঝা অযথাই নিতে হচ্ছে। রিচার্যের ক্ষেত্রেও অভিযোগ আছে যে টাকা বেশি কেটে নেয়া হয় অনেক সময়। শুধু তাই নয় ইমার্জেন্সি একশো টাকার ব্যলেন্সের ক্ষেত্রে অনেকেই চল্লিশ টাকা বেশি কেটে নেয়ার অভিযোগ করছেন। পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার ভালো উদ্যোগ হতে পারতো কারণ এতে করে অপচয় কমে যাওয়ার কথা। অথচ মিটার সমস্যায় বেশি টাকা কাটার কারণে তা গ্রাহকদের আস্থা হারাচ্ছে। মিটারে কেন গ্রাহক বিশ্বাস রাখবে বা কেন বিল বেশি হচ্ছে অথবা আগের এনালগ মিটারের সাথে কেন এই মিটারের বিল মিলছে না এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কি কিছু ভাবছে?
যারা মিটারগুলো দিচ্ছে তারা কি মিটার সঠিক ক্যালিব্রেশন করে দিচ্ছে নাকি মিটারগুলোই নন ক্যালিব্রেটেড? ক্যালিবেশ্রনের সমস্যার কারণে একই মিটার দুই জায়গায় দুই ধরনের রিডিং দিতে পারে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যপার। আর যেহেতু বিষয়টি নিয়ে বারবার অভিযোগ আসছে সেহেতু বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা প্রয়োজন। কারণ ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় এই মিটারের বিলকে ভুতুরে পল্লী বিদ্যুতের মিটার বিল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, যদি গ্রাহক অযথা টাকার বোঝা নিয়ে থাকে সেটা অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অবহেলাই বলা যায়। প্রিপেইড মিটারের বিল বেশি নেওয়া স¤পর্কে অভিযোগ অনেক দিন থেকেই। সুতরাং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ও মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সরকারের যারা রয়েছেন তাদের এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিৎ বলে মনে করি। মিটারটি আগের মিটারগুলোর সাথে ক্যালিব্রেশন করার পর ফ্যাক্টর অনুযায়ী ইরর কতটুকু তা বের করে গ্রাহকের সাথে এ বিষয়ে টেকনিক্যাল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা প্রয়োজন বলে মনে করি। আশা করি, সরকারের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই এ বিষয়ে ভালো ভ‚মিকা পালন করবে।
রসায়নবিদ ও সদস্য
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি
শ্রীপুর, গাজীপুর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন