মংলায় পল্লী বিদ্যুতের ক্যাবল চুরির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকারী এ সম্পদের চুরির ঘটনায় বিচার না করে উল্টো চোরকে এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ চুরির ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।
মংলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অফিসার ইনচার্জ সাধন বিশ্বাস জানান, উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চাঁদপাই গ্রামের মাজার সংলগ্ন দয়াল বাছাড়ের ছেলে সুকান্ত বাছাড় (১৮) বুধবার বিদ্যুৎতের পিলারে থাকা বিশাল আকৃতির চার পিচ ক্যাবল চুরি করে।
স্থানীয়রা জানান, চুরির বিষযটি জানা জানি হলে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী রোকন হাওলাদার ধামাচাপার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে রোকন বলেন, আমি যা করেছি তা ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলামের মাধ্যমে করেছি। এদিকে শুকান্তের বাছাড় বাবা দয়াল বাছাড় বলেন, এ ঘটনাটি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম ও রোকন হাওলাদার থেকেই মিমাংসা করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো. তারিকুল ইসলাম জানান, রাস্তার ওপর ঝুলে থাকা তার শুকান্ত কেটে ফেলে। পরে তার বাবা ওই তার ব্যবসায়ী রোকন হাওলাদারের কাছে জমা রাখেন। তিনি স্থানীয় (চেয়ারম্যান) লোকদের কাছ থেকে জানতে পেরে পল্লী বিদ্যুৎ মংলা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সাধন বিশ^াস মোবাইলের মাধ্যমে জানান। মোল্লা মো. তারিকুল ইসলাম আরও দাবি করেন স্থানীয় কতিপয় লোক শুকান্তের বাছাড়ের বাবা দয়াল বাছাড়ের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে কিছু টাকা দাবি করে, যা না পেয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ মংলা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সাধন বিশ্বাস বলেন, চুরির ঘটনা অভিযুক্ত সুকান্ত বাছাড়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আশা করছি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর চুরির ঘটনা ধামাচাপা ও টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন