কুমিল্লায় তিশা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনই একই পরিবারের সদস্য।
নিহতরা হলেন- জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার পশ্চিম জোড্ডা ঘোড়া ময়দান গ্রামের মৃত হাজী জব্বার আলীর ছেলে ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন (৪৫), তার মা সকিনা বেগম (৮০), স্ত্রী শিরিন আক্তার (৩৫), ছেলে শিপন (১৮), হৃদয় (১৫), মেয়ে নিপু আক্তার (১৩) ও অটোরিকশাচালক জামালউদ্দিন (৩৫)।
রোববার দুপুরে কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের লালমাই উপজেলার বাগমারা এলাকার গামতলী মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন নিজ গ্রামে ঈদ উদযাপনের পর কর্মস্থল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা শহরে যাচ্ছিলেন।
এ সময় কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের লালমাই উপজেলার গামতলী এলাকায় ঢাকা থেকে লাকসামগামী তিশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস একটি মাইক্রোবাসকে ওভারটেক করার সময় উল্টো সাইডে এসে সিএনজিচালিত আটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালকসহ অটোতে থাকা যাত্রীরা মারা যান।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাস ও অটোরিকশা উদ্ধার করেছে।
এদিকে মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সবাই নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে এসে আহাজারি করেন।
হাইওয়ের পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তিশা বাসের চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। মামলার পর তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন