শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘লিভারপুলের কোতিনহোয়’ দুর্দান্ত ব্রাজিল

প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ‘ব্রাজিল এবং ৭-১ ব্যবধান’ এই ধরনের প্রসঙ্গ আসলেই বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে স্বাগতিক ব্রাজিলের সেই লজ্জাজনক হারের কথাই মনে পড়ে। না, আবারো তেমন লজ্জায় পড়েননি ব্রাজিলিয়ানরা। বরং দুর্বল হাইতিকে এবার একই ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
আসরের অন্যতম শিরোপা প্রত্যাশী দল তারাই। অথচ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঠিক যেন চেনা ভ‚মিকায় ছিল না দুঙ্গার ব্রাজিল। ইকুয়েডরের সাথে প্রাণহীন ম্যাচটি ড্র হয়েছিল গোলশূন্যভাবে। সেই ক্ষোভই হয়তো গতকাল তাতিয়ে তুলেছিল দুঙ্গার শিষ্যদের। শতবর্ষী কোপা আমেরিকায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্বল হাইতিকে পেয়ে রিতিমত গোল-উৎসব করেছে সেলেসাওরা। জাতীয় দলের হয়ে এদিন প্রথম হ্যাটট্রিক করেন মিডফিল্ডার ফিলিপ কোতিনহো। জোড়া গোল করেন আরেক মিডফিল্ডার রেনাতো আগুস্তো। একটি করে গোল করেন গ্যাব্রিয়েল ও লুকাস লিমা।
অরল্যান্ডে লিভারপুল তারকা কোতিনহোর তিনটি গোলের দুটিই ছিল দূরপাল্লার শটে। যোগ করা সময়ে করা গোলটি ছিল ম্যাচের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন গোল। এমন গোল করতে খেলোয়াড়দের একান্ত সাহস ও বিশ্বস্ততার দরকার হয়। যেমনটি বললেন কোচ দুঙ্গা, ‘সে আরো বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে এবং নিজের ওপর বিশ্বাস জন্মেছে এবং অনেক ঝুঁকি নিতে পারে। আর আমি এটাই চেয়েছি।’ ব্রাজিলিয়ান যোগ করেন, ‘ট্রেনিং সেশনে আমরা কোতিনহোকে উৎসাহ দিয়েছি লিভারপুলের মতো খেলতে এবং সে সেটাই করেছে।’ প্রথম ম্যাচে ছন্দহীন ফুটবলের পর ব্রাজিল কোচ কার্লোস দুঙ্গা আশ্বস্ত করেছিলেন ধীরে ধীরে উন্নতি করবে তার দল। পরের ম্যাচেই তার প্রমাণ দিলেন তিনি। তবে তার দলের উন্নতির চেয়ে এদিন হাইতির রক্ষণের বেহাল দশাই যেন চোখে পড়েছে বেশি। তাই দুঙ্গার দল আসলে কতটুকু উন্নতি করল তার আসল প্রমাণ মিলবে আগামী রবিবার। গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচে সেদিন পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। দু’দলেরই অর্জন সমান ৪ পয়েন্ট করে। সেদিন পথ হড়কালেই বিদায় নিতে হবে সেলেসাওদের। কোতিনহো অবশ্য প্রত্যয়ী জয়ের ব্যাপারে। ২৩ বছর বয়সী এর আগে ব্রাজিলের হয়ে মাত্র ১টি গোল করেন, সেটাও মেক্সিকোর বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে। পেরুকে সমীহ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন পরের ম্যাচে নজর দিতে হবে। আমাদের স্বপ্ন দেখাটা অব্যহত রাখতে হবে, কিন্তু সেটা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়ার মাধ্যমে। পেরু খুবই শক্ত প্রতিপক্ষ।’
গ্রেনডেইলে গ্রæপের অপর ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও পেরুর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে ইকুয়েডর। দুই মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান কুয়েভা ও এডিসন ফ্লোরেসের গোলে ম্যাচের ১৩ মিনিটেই দুই গোলে এগিয়ে যায় পেরু। কিন্তু প্রধমার্ধের শেষ দিকে ও রিরতির পরপরই ভ্যালেন্সিয়া ও মিলার বোনালোসের গোলে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার তিনে থাকলেও দুর্বল হাইতির বিপক্ষে জিতে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সহজ হিসাব লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষে থাকা ইকুয়েডরের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন