বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘মিডিয়া সরব ছিল বলেই বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং তাদের বিচার হচ্ছে। আগামী দিনেও নারী-শিশু নির্যাতনের যেকোনও ঘটনায় মিডিয়াকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।’
ক্ষমতাসীনরা অথবা প্রভাবশালী মহল নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা আড়াল করতে চাইলেও এখন থেকে তা কিছুতেই করতে দেয়া হবে না বলেও জানান গয়েশ্বর। এ কাজে তিনি মিডিয়ার সহায়তা চেয়েছেন।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় গঠিত ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে ৬৬ সদস্যের গঠিত কমিটি ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কমিটিতে চিকিৎসক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, শিল্পী, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এভাবেই সারা দেশে কমিটি করে ফোরামের কার্যক্রম করা হবে বলে জানান নিপুন রায় চৌধুরী।
এদিন ফোরামের ৫ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সদস্য হলেন অ্যাড: খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাড: এ জে মোহাম্মদ আলী, ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাড: জয়নুল আবেদীন ও অ্যাড: রুহুল কবির রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘লোমহর্ষক নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটলেও অনেক ঘটনা আড়ালে চলে যায়। এখন থেকে যাতে এসব ঘটনা আড়াল হতে না পারে সেই কাজ করবে ‘জাতীয় নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’। তাৎক্ষণিকভাবে নির্যাতনের শিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, তাদের চিকিৎসা ও আইনি সহায়তাও দেবে এই ফোরাম।’
রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে গয়েশ্বর বলেন, ‘এ বিষয়ে বিএনপি খুব শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন