শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কঁচা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন

ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীতে আকস্মিক ভাঙনের কবলে পড়ে তিনটি জেলে পরিবারের কৃষিজমি ও বসত ঘর সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কঁচা নদী তীরবর্তী নদমূলা জেলে পল্লী এলাকায় হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনের কবলে পড়ে মুহূর্তেই দুই একর কৃষিজমি ও তিনটি জেলে পরিবারের বসত ঘর সম্পূর্ণ নদীগর্ভে চলে যায়। নদী ভাঙনে বিপন্ন তিন জেলে পরিবার বসত ঘর হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ কঁচা নদীতে ভাঙন শুরু হয়। প্রথমে জেলে নাসির হাওলাদারের ঘর ভাঙনের কবলে পড়লে লোকজন ভয়ে ঘর ছেড়ে বের হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী আরও দুই জেলে জামাল হাওলাদার ও আমির হাওলাদারের বসত ঘর পালাক্রমে ভাঙনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে বিপন্ন জেলেদের বসত ঘরের মালামাল স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ভাঙনে বিপন্ন জেলে পরিবারের সদস্যরা রক্ষা পেলেও তাদের বসত ঘর, মালামাল নদী গ্রাস করে ফেলে।

এদিকে আকস্মিক নদী ভাঙনের খবর ছড়িয়ে পড়লে নদমূলা জেলে পল্লীর বাসিন্দাদের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। ভাঙন অব্যাহত থাকায় আরও পাঁচটি বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। নদী ভাঙনের খবর পেয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আওলাদ হোসেন জানান, ৩টি পরিবারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকার মত। এর মধ্যে মৎস্যজীবী নাসিরের ১০ লাখ ও জামাল হাওলাদারের ৫ লাখ এবং আমির হাওলাদারের ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম জানান, ভ‚ক্তভোগী জেলে পরিবারগুলো বেরিবাঁধের বাইরে নদী তীর লাগোয়া এলাকায় বসবাস করছিল। সেখানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় জেলে পরিবারগুলোকে বাঁধের ভিতর অংশে সরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙন রোধে কঁচা নদীর তীরে বøক ফেলে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান। তবে ভাঙন কবলিত এলাকাটি এ কাজের বাহিরে রয়েছে। গৃহহীন জেলে পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে পাউবোর প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলেছি। বিপন্ন জেলে পরিবারগুলোকে নদী তীর থেকে সরিয়ে এনে বেরিবাঁধের ভেতরে পুনর্বাসন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন