মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কয়রায় পাউবোর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন ৫ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কয়রা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা

কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/২ পোল্ডারের শাকবাড়িয়া নদীর গাববুনি ও ১৩-১৪/১ পোল্ডারের কপোতাক্ষ নদের গাজীপাড়া বেড়িবাঁধ আকস্মিক ধসে গিয়ে সিংহভাগ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় বেড়বাঁধ নদীগর্ভে ধসে গেলে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের লোকজন ভীত তটস্ত হয়ে পড়ে। জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন আতঙ্কিত এলাকাবাসী। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন নদীতে প্রবল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও ¯্রােতের বেগ বেশি হওয়ায় নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে ওই এলাকায় বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ধস নেমেছে। যেকোন মুহূর্তে সম্পূর্ণ বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পুরো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য গনেশ চন্দ্র মন্ডল জানান, গাজীপাড়া বেড়িবাঁধের ১শ’ ফুট ও গাববুনিয়া বাঁধের প্রায় ২শ’ ফুট এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ধস নেমেছে। বেড়িবাঁধ রক্ষা করা সম্ভব না হলে শাকবাড়িয়া ও কপোতাক্ষ নদ দুটি একাকার হয়ে যেতে পারে। যার কারণে পুরো দক্ষিণ বেদকশি ইউনিয়ন ও উত্তর বেদকাশির ৫টি গ্রাম উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়বে। তাছাড়া গাজীপাড়া, কাটকাটা, কাঠমারচর, বড়বাড়ি, পাথরখালি, কাছারিবাড়ি ও হাজতখালি সহ উত্তর বেদকাশির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় সমাজ সেবক আরিফুল হক ছানা। এছাড়া ১৩-১৪/১ পোল্ডারের আংটিহারা বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে গত কয়েক দিনে ফাটল ধরায় বাঁধ চরম হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। সেখানে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে বেড়িবাঁধে মাটি ফেলানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম জানান, জরুরি ভিত্তিতে ধসে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে চিংড়ি ঘের সহ মানুষের বসতভিটা লোনা পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা জোনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বদিউজ্জামান ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ সরেজমিন পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, চলমান কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন