মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় মিমি আক্তার (২০) নামের এক নারী পুলিশ সদস্য ও তার পিতা মন্নান সিকদারকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আল-ফয়সাল বৃহস্পতিবার তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। মিমি আক্তার ঢাকা মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনে কর্মরত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রামের নুরুল ইসলাম ফরাজীর ছেলে ফিরোজ হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী। ছেলে সিঙ্গাপুর থাকাবস্থায় পিতা নুরুল ইসলাম ছেলের জন্য কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের আঃ মন্নান সিকদারের মেয়ে মিমি আক্তারকে পছন্দ করে তাদের বিয়ের এনগেজমেন্ট সম্পন্ন— করেন। মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হবে বলে কথা হয়।
এরপর ছেলে ও মেয়ের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সিঙ্গাপুর থেকে ফিরোজ তার হবু স্ত্রী মিমিকে স্মার্ট ফোন ও স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠায় এবং লেখাপড়ার খরচ বহন করে। এছাড়া চাকুরীর কথা বলে ছেলের কাছ থেকেও নেয়া হয়। মেয়ে ও মেয়ের মা-বাবা ছেলের কাছ থেকে মালামালসহ সর্বমোট চার লক্ষাধিক টাকা নেয়। এদিকে মিমির পুলিশে চাকুরী হয়। ফিরোজ দেশে এসে মিমিকে বিয়ে করতে চাইলে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। একপর্যায় ফিরোজ কাউখালী মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, বিদেশ থেকে প্রেরিত টাকা ফেরত চাইলে মেয়ে ও মেয়ের বাবা-মা তা দিতে অস্বীকার করে এবং মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ফিরোজের বাবা নুরুল ইসলাম ফরাজী বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিমি ও তার মা-বাবাকে আসামী করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত মিমি ও তার বাবা মন্নান সিকদারকে জেল হাজতে পাঠায় এবং মিমির মা খাদিজা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন