নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। যদি নিরাপদ সড়ক আমরা তৈরি করতে না পারি, তাহলে জনগণের যে ক্ষোভ আমরা অতীতে দেখেছি সেটা কিন্তু থেমে থাকবে না। যখন বিস্ফোরণ হবে, আমরা যারা সংশ্লিষ্ট আছি মালিক-শ্রমিক, আইন-শৃংখলা বাহিনী, সরকার কেউ কিন্তু জন-রোষানল থেকে পরিত্রাণ পাব না। গতকাল শনিবার রাজারবাগে পুলিশ লাইন অডিটোরিয়ামে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে করণীয় শীর্ষক এক সভায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ সব কথা বলেন।
বাস টার্মিনালগুলো বাস ডিপোতে পরিণত হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, সড়কে শৃংখলা ফেরাতে রাজধানীর মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালগুলো শহরের বাইরে নেয়ার সময় এসেছে। এগুলো সরাতে হবে। কারণ টার্মিনালগুলো এখন বাস ডিপোতে পরিণত হয়েছে। তাই এই ডিপোগুলোতে পরিবর্তন আমাদের আনতে হবে। বিষয়টি ভাবার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। ঢাকার শহরে বাস-বে নাই। এতে করে বাস থামে রাস্তায়। ফলে পেছনে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়। ১৪৭টি বাস স্টপেজ আমরা করেছি। এখন কিছুটা হলেও যানজট নিরসন হচ্ছে। কিন্তু এটি স্থায়ী সমাধান নয়। তিনি বলেন, পৃথিবীর একমাত্র দেশ আমাদের দেশ, যেখানে হাত উঁচিয়ে ট্্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখনও পর্যন্ত সিগন্যাল বাতি চালু করতে না পারা বড় ব্যর্থতা।
চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চালকরা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালায়। কেনো তাদের ভেতর নাগরিক দায়িত্ববোধ থাকবে না। এটা তো দণ্ডণীয় অপরাধ। দেশে আইন তৈরি হয় দেশের সভ্য মানুষ আইন মানবে সে জন্য। কিন্তু এদেশে হয় উল্টোটি। কেউ আইন মানতে চাই না। তাই আইন মানার সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে হবে। অহেতুক হয়রানি করা না হয় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন