খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত দুটি হাইড্রোড়্রাফী সার্ভে ভ্যাসেলের নির্মান শেষে রূপসা নদীতে ভাসান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে খুলনা শিপইয়ার্ডের এমডি ক্যাপ্টেন এম এস করিম,(ই),পিএসসি-বিএন দ্বিতীয় সার্ভে ভ্যাসেলটির লঞ্চিং করেন। এসময় নৌ নির্মান প্রতিষ্ঠানটির জিএমবৃন্দ সহ প্রতিষ্ঠানটির উর্ধতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাগনও উপস্থিত ছিলেন। ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন তৎকালীন নৌ বাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমদ নৌ বাহিনীর জন্য এসব সার্ভে ভ্যাসেল-এর নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। গত ফেব্রুয়ারী মাসে প্রথম সার্ভে ভেসেলটির লঞ্চিং শেষে চুড়ান্তভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। দুটি জরিপ জাহাজই খুব শিঘ্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পরে কমিশনিং করা হবে। প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যায়ে খুলনা শিপইয়ার্ডে প্রথমবারের মত এধরনের বিশেষায়িত জরিপ নৌযান নির্মিত হল।
নব নির্মিত হাইড্রোগ্রাফী সার্ভে ভ্যাসেলগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ ৩২.৭২ মিটার। প্রস্থ ৮.৪০ মিটার। অষ্ট্রেলিয়ান ডিজাইনে ক্যটামেরন হালে ৩.১৭ মিটার গভিরতার নৌযান দুটি ঘন্টায় ১২ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। নৌযানগুলোতে দুটি করে ৬শ অশ্ব শক্তির সুইডেনের ‘ভল্ভোপেন্টা’ মূল ইঞ্জিন ছাড়াও ৮০ কিলোওয়াটের ২টি ও ১৬কিলোওয়াটের ১টি জেনারেটর থাকবে। অত্যাধুনিক এসব জরিপ জাহাজগুলোতে ৩ ধরনের ‘ইকো সাউন্ডার’ ছাড়াও ‘সাইড স্ক্যান সোনার’ও সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি নৌযানে বিশ্বমানের ‘ নেভিগেসন ও কমিউনিকেসন ইকুইপমেন্ট’ সংযোজন করা হয়েছে।
দেশের সমুদ্র উপক’ল বন্দর ও পোতাশ্রয় সংলগ্ন এলাকায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত এসব জরিপ জাহাজের সাহায্যে একনাগােেড় দীর্ঘ সময় নিখুতভাবে ‘হাইড্রোগ্রাফীক সার্ভে’ সম্পন্ন করতে পারবে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন