শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গণচীনে নির্মিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ মংলা নৌ ঘাঁটিতে এসে পৌঁছেছে

মনিরুল ইসলাম দুলু | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:৪৩ পিএম

গনচীন থেকে নির্মিত বাংলাদেশের ২টি যুদ্ধ জাহাজ আজ বৃহস্পতিবার মংলাতে এসে পৌছেছে । বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে জাহাজ দুটি মংলার দিগরাজের নৌ ঘাঁটিতে নোঙর করেছে। এসময় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

নৌপথে সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির লক্ষে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর জন্য গণচীন থেকে নির্মান করা হয় যুদ্ধজাহাজ বিএনএস ওমর পারুক ও বিএনএস আবু উবাইদাহ । আধুনিক এই যুদ্ধ জাহাজ ২টির দৈর্ঘ ১১২ মিটার ও প্রস্থ ১২.৪ মিটার । জাহাজ ২টি ঘন্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম এবং আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত ।এতে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির কামান। ভুমি থেকে আকাশে এবং ভুমি থেকে ভুমিতে উৎক্ষেপনযোগ্য ক্ষেপনাস্ত্র,অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স র‌্যাড়ার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, সাব মেরিন বিধ্বংসী রকেট। সার্বিকভাবে শত্রু বিমান,জাহাজ, ও স্থাপনায় আঘাত হানার রয়েছে পূনৃ ক্ষমতা। এছাড়াও জাহাজ ২টিতে হেরিকাপ্টার অবতারণ ও উড্ডয়নের জন্য ডেক ল্যান্ডিংসহ সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা,সন্ত্রাস,জলদস্যু দমন ও চোরাচালান বিরোধী অপারেশন পরিচালনা করতে সক্ষম।জাহাজ ২টি বাংলাদেশের জলসীমার সর্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দূর্যোগকালিন জরুরী উদ্ধার ও ত্রান তৎপরতা,অবৈধ মৎস্য নিধন, সমুদ্র ও উপক’লীয় এলাকায় মানব পাচার-চেরাচালান প্রতিরোধসহ ব্লু ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে।
বানৌজা আবু উবাইদাহ এর অধিনাযক ক্যাপ্টেন এম মঈনুল চৌধুরী জানান, এই জাহাজে হেলিকাপ্টার ব্যাবহার করতে পারবো । আমরা শত্রুদের যে কোন সব মেরিন ধ্বংস করতে সক্ষম ।
বিএনএস ওমর ফারুক এর অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এসএম আতিকুর রহমান জানান, বিমান,জাহাজ ও সাবমেরিন এই ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজের । এর ফলে আমরা শত্রু আরও শক্ত ভাবে মোকাবিলা করতে পারবো ।
খুলনা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী জলসীমা নিরাপত্তায় ব্যাপক দায়িত্ব পালন করছে । নতুন সংযুক্ত হওয়া এই জাহাজ বাংলাদেশের জলসীমার সর্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দূর্যোগকালিন জরুরী উদ্ধার ও ত্রান তৎপরতা,অবৈধ মৎস্য নিধন, সমুদ্র ও উপক’লীয় এলাকায় মানব পাচার-চেরাচালান প্রতিরোধসহ ব্লু ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে।

‘গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর সাংহাইয়ের সেনজিয়া শিপইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ জাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তস্তর করা হয়। এরপর ২৩ ডিসেম্বর জাহাজ দুটি চীনের সাংহাই বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে ‘জানজিয়াং’ বন্দর ও মালয়েশিয়ার ‘ক্লাং’ বন্দর হয়ে প্রায় আট হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় ‘ওমর ফারুক ও আবু উবাইদাহ।’

শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দূজয় এই শ্লোগানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। এই বাহিনীর বহরে যুক্ত হল এই যুদ্ধ জাহাজ ২টি । এই জাহাজ ২টি দেশের নৌ সীমা আরও নিরাপদ রাখবে এমনটাই আশা দেশবাসির ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন