বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

রহমত শাহর ফিফটিতে আফগান প্রতিরোধ

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান চট্টগ্রাম টেস্ট

ইমরান মাহমুদ, চট্টগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৫৪ পিএম

টানা দুই উইকেট পতনে দিশেহারা আফগানিস্তানকে পথ দেখাচ্ছেন রহমত শাহ। দেখে শুনে ধীর ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন তিন ম্যাচে নিজের তৃতীয় ফিফটি। ১০১ বল খেলে ব্যাট করছেন ৫৩ রান নিয়ে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেছেন আসগর আফগান (৪৫ বলে ২৮)। দু’জনে অবিচ্ছেদ্য আছেন ৫০ রানের জুটি গড়ে।

৪৭ ওভার শেষে তিন উইকেট হারানো আফগানদের ঝুলিতে ১২৭ রান।

ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে তাইজুলের দ্রততম একশ

শুরু থেকেই জড়সড় হয়ে থাকায় ছটফট করছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে উইকেট ছেড়ে এসে দুটি বাউন্ডারিও মারেন আফগান এই ওপেনার। তাকে যুৎসই সঙ্গ দিয়ে সাকিবের শর্ট বলে ছক্কাও মারেন রহমত শাহ। সেই প্রচেষ্টাই শেষ পর্যন্ত কাল হলো। বেরিয়ে এসে শট খেলে বিদায় নিলেন ইব্রাহিম।

এবারও শিকারির ভুমিকায় তাইজুল। ঝুলিয়ে ডেলিভারি করেছিলেন এই স্পিনার। লং অফে ফিল্ডার থাকলেও ইব্রাহিম বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারেন। কিন্তু টার্ন করায় বল লাগেনি ব্যাটের ঠিক জায়গায়। লং অফে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। ইব্রাহিমের অভিষেক ইনিংস শেষ হলো ৬৯ বলে ২১ রান করে। ২৫তম ওভারে আফগানিস্তানের রান ২ উইকেটে ৪৮।

তাকে ফিরিয়ে মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে একশো উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তাইজুল ইসলাম। বাকি দুজনের চেয়ে কম টেস্ট খেলে মাইলফলকে পৌঁছালেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

২৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৫।

তিন উইকেট খুইয়ে লাঞ্চে আফগানিস্তান

উইকেট উৎসবে এবার সামিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। থিতু হবার আগেই হাশমতউল্লাহ শহিদীকে সৌম্য সরকারের তালুবন্দী করে ফেরান অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। এর পর আর একটি বলও খেলতে নামেনি সফরকারীরা। নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগেই মধ্যবিরতির যাক দেন দুই আম্পায়ার।

৩২.৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারানো আফগানদের ঝুলিতে ৭৭ রান। ৩১ রান নিয়ে একপাশ আগলে রানের চাকা ঘুরিয়ে চলেছেন রহমত শাহ।

ইহসানউল্লাহকে ফিরিয়ে শুরুর আঘাত তাইজেুলের

দেখে শুনে খেলছিলেন দুই আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও ইহসানউল্লাহ। ক্ষুরধার বোলিংয়ে তাদের রানের চাকাও আটকে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। আবশেষে রান বাড়ানোর চেষ্টাই কাল হলো আফগানদের। অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলামের একটি ধাঁধায় বাঁধানো এক ঘূর্ণিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরলেন ইহসানউল্লাহ (৯)।

১৩ ওভার শেষে আফগানিস্তান এক উইকেটে ২০।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে পেসারহীন বাংলাদেশ

প্রতিপক্ষ নবাগত আফগানিস্তান। তবুও গত বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় চট্টগ্রামের একমাত্র টেস্ট। উপলক্ষ্য যে অনেক! আলোচিত এই টেস্টে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায়।

প্রথমত বিশ্বকাপ আর শ্রীলঙ্কা থেকে যে দুঃসহ স্মৃতি বয়ে এনেছে তা মুছে ফেলে নতুন করে শুরুর মিশন বাংলাদেশের, দেশসেরা তারকা সাকিব আল হাসানের ক্রিকেটে ফেরার মিশন, তামিম ইকবাল না থাকায় নতুন ওপেনিং জুটি খুঁজে পাওয়ার মিশনও। সব মিলিয়ে দেশের ক্রিকেটের দুঃস্বপ্ন কাটানোর মিশনও যে।

টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

টেস্ট ক্রিকেটের নবীনতম সদস্য আফগানিস্তান। অন্যদিকে বছর দুই আগেও এ তকমা ছিল বাংলাদেশের। সাদা পোশাকে এ দুই দেশের লড়াই। লড়াইয়ের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকেই টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন রশিদ খান। টস জিতে আফগান অধিনায়ক বোলিংয়ে পাঠিয়েছেন বাংলোদেশকে।

অধিনায়ক রশিদের ইতিহাস

আজ টেস্ট অধিনায়কত্বে অভিষেকের দিনটিতে রশিদের বয়স ২০ বছর ৩৫০ দিন। সবচেয়ে কম বয়সে টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া আগের ক্রিকেটার ছিলেন টাটেন্ডা টাইবু। ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারারে টেস্টে টস করার দিন টাইবুর বয়স ছিল ২০ বছর ৩৫৮ দিন।

টেস্ট রেকর্ড গড়ার দেড় বছর আগে ওয়ানডের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের রেকর্ডটিও করে রেখেছেন রশিদ। স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এই চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে শুরু হলো অধিনায়ক হিসেবে তার যাত্রা। তবে এর আগে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ৪টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার।

পেসার ছাড়া বাংলাদেশ

গত কিছুদিনে বিসিবি কর্তাদের নানা কথায় ইঙ্গিত মিলেছিল, আফগানিস্তানের বিপক্ষে হয়তো স্পিন বান্ধব উইকেটের কৌশল নেবে না বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবে সেটির প্রতিফলন পড়ল না। বাংলাদেশ একাদশই বলে দিচ্ছে উইকেটের অবস্থা। একাদশে নেই কোনো স্পেশালিস্ট পেসার। কাজ চালানোর পেসার আছেন কেবল সৌম্য সরকার।

সাকিব আল হাসানসহ একাদশে স্পেশালিস্ট স্পিনার চারজন। পাশাপাশি স্পিন করার মতো আছেন মাহমুদউল্লাহ , মোসাদ্দেক হোসেন ও মুমিনুল হক। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্টেও গত নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্পেশালিস্ট পেসার ছাড়া খেলেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান।

চার স্পিনারের আফগানিস্তান

বাংলাদেশের মতো একেবারেই পেসবিহীন দল সাজায়নি আফগানিস্তান। তাদের একাদশে স্পেশালিস্ট পেসার আছেন ইয়ামিন আহমাদজাই। একাদশে চার জন স্পেশালিস্ট স্পিনার আছে তাদেরও। অধিনায়ক রশিদ খান, অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবির সঙ্গে আছেন চায়নাম্যান জহির খান ও লেগ স্পিনার কাইস আহমেদ।

জহিরের এটি অভিষেক টেস্ট, কাইসের অভিষেক হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানও।

আফগানিস্তান একাদশ: ইব্রাহিম জাদরান, ইহসানউল্লাহ, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবি, আফসার জাজাই, রশিদ খান (অধিনায়ক), ইয়ামিন আহমাদজাই, কাইস আহমেদ, জহির খান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন