শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

শেখ জামালের বড় জয়

প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় জয় পেলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপের খেলায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচে কেউই জিতেনি। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে শেখ জামাল গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের হ্যাটট্রিকে ৬-২ গোলে হারায় উত্তর বারিধারা ক্লাবকে। বিজয়ী দলের ল্যান্ডিং তিনটি, ওয়েডসন, এনামুল ও ইয়াসিন খান একটি করে গোল করেন। বারিধারার সবুজ ও রোহিত দু’টি গোল শোধ দেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল শেখ জামাল। তারা একের পর এক আক্রমণ করলেও বারিধারাও কম যায়নি। তারাও পাল্টা আক্রমণ করেছে। শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলেও গোল পেতে ২৩ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয় শেখ জামালকে। ৬ মিনিটে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় বারিধারার সীমানায় ঢুকে পড়েন ডিফেন্ডার লিংকন। ডান প্রান্ত থেকে শটও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক বল গ্রিপে নেন। এর পরের কয়েক মিনিট গোল হজমের সংঙ্কায় ছিল শেখ জামাল। ৮ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে মিডফিল্ডার সেন্টু চন্দ্র বল নিয়ে পাস দেন ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ শিটুলকে। তার শট সাইডবারের কোনায় লেগে ফেরত আসে। ১২ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় বারিধারা। এ সময় বামপ্রান্ত থেকে সেন্টুর বাড়িয়ে দেয়া বলে পোস্ট লক্ষ করে শট নেন শিটুল। কিন্তু বল চলে যায় সাইডপোস্ট ঘেষে। খেলার ধারার বিপরীতে ২৩ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ জামালই। এনামুলের পাসে বল পেয়ে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে বারিধারার বক্সে ঢুকে পড়েন জামালের গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে। তারপর বুঝে শুনে ঠাÐা মাথায় জালে বল ঠেলে দেন তিনি (১-০)। এরপর আরা পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের ৩০ মিনিটে লিংকনের পাসে বল পেয়ে ছুটে চলছিলেন জামাল অধিনায়ক ওয়েডসন এনসেলমে। তাকে আটকাতে এগিয়ে আসেন বারিধারার গোলরক্ষক রাজিব। কিন্তু তিনি বক্সে পরে যান। আর তাকে পেছনে ফেলে ফাকা পোস্টে বল পাঠান ওয়েডসন (২-০)। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ায় শেখ জামাল। ৪৭ মিনিটে বল নিয়ে বামপ্রান্ত দিয়ে পোস্টের কাছে পৌঁছে যান ওয়েডসন। কিন্তু প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বাধার মুখে পড়ে ব্যাকপাস ল্যান্ডিংকে। বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার শটে গোল করেন ল্যান্ডিং (৩-০)। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ দেয় বারিধারা। গোল করেন খালেকুজ্জামান সবুজ (১-৩)। তবে পরের মিনিটেই আরো এক গোল পায় শেখ জামাল। ৫৫ মিনিটে ওয়েডসনের বাড়িয়ে দেয়া বল প্রতিহত করতে এগিয়ে আসলে পড়ে যান গোলরক্ষক রাজিব। বল এনামুলের পায়ে গেলে তিনি জামালের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন (৪-১)। ৬৪ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ল্যান্ডিং (৫-১)। ৬৯ মিনিটে রোহিত সরকার বারিধারার পক্ষে প্লেসিং শটে গোল করে ব্যবধান কমান (২-৫)। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বাম প্রান্ত থেকে উঁচু করে বল বক্সে ফেলেন জামালের আনিসুর আলম সুইট। পোস্টের খুব কাছ থেকে হেড দিয়ে লক্ষ্য ভেদ করেন ইয়াসিন খান (৬-২)।
এদিকে, সন্ধ্যায় শুরু হওয়া দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ১-১ গোলে ড্র করেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে। ম্যাচের ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর ইব্রাহীম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+২) শেখ রাসেলের ইকাঙ্গা গোল করে সমতা আনেন (১-১)। ম্যাচের বাকি সময় দু’দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেললেও আর কোনো গোল হয়নি। ফলে অমীমাংসিতভাবেই শেষ হয় খেলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন