সংবাদপত্রের পাতা খুললে বা টিভি অন করলে বা কম্পিউটার খুললে আমরা খাদ্য ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে হরেক রকম ধাঁধালাগা তথ্য পাই। এগুলো দেখে বা পড়ে প্রভাবিত না হয়ে কতগুলো সঠিক বস্তুনিষ্ঠ তথ্য অনুসরণ করা উচিত। কারণ, মানুষ মাত্রই সৌন্দর্যের পূজারী। সুন্দর ছিমছাম শরীর সবার কাম্য। পুরুষের যেমন মেদহীন পেশিবহুল ধারালো শরীর দরকার, তেমনি রমণীদের রমণীয়-কমনীয় ভাঁজে ভাঁজে বাঁক খাওয়া তীক্ষè শরীর দরকার। আমরা সবাই কী কী খাদ্য খাওয়া যাবে না শুনতে শুনতে ক্লান্ত। কিন্তু যে খাবারে মেদ কমায় তা শুনতে পাই কম। আসুন, জেনে নেই, কী কী খাবার আমাদের মেদ কমায়-
কাঠবাদাম : কাঠবাদামে আছে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার আর ভালো কোলেস্টেরল। প্রতিদিন এক মুঠো কাঠবাদাম খান, পেট ভরা থাকবে। এতে থাকা ভিটামিন আর মিনারেল ত্বক ভালো রাখবে।
আখরোট : আখরোট ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরে মেদ জমতেও দেয় না। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, যা বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধ করে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত দেহে শক্তি জোগায়।
আপেল : আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। ফাইবার পেটে সহজে মেদ জমতে দেয় না। এতে মিনারেল আর ভিটামিনও আছে। ক্যালরিও অনেক কম। ডায়েটে থাকাকালে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন আপেল।
টক কমলা, মাল্টা : এসব ফল ভিটামিন ‘সি’র আধার। ক্যালরিও থাকে খুবই কম। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমানোর জন্য একটা কমলা বা মাল্টা খেতে পারেন। তরমুজ : তরমুজের সবটুকুই আসলে পানি। তাই ক্ষুধা লাগলে এক বাটি তরমুজ খেয়ে নিন। পেটও ভরবে, আবার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরিও জমবে না। পেয়ারা : আপেলের মতো পেয়ারারও আছে ফাইবার। তাই পেয়ারা খেতে পারেন, অযথা পেটের মেদ বেড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। আমলকী : আমলকীতে ভিটামিন ‘সি’ আছে। রোগব্যাধি ছাড়াও অতিরিক্ত ওজন কমাতে প্রতিদিন দুটি আমলকীই যথেষ্ট। অ্যাপল সিডার ভিনেগার : এই ভিনেগার আসলে নিজে ওজন কমায় না; কিন্তু খাওয়ার আগে এক চামচ ভিনেগার এক গøাস পানিতে গুলিয়ে খেয়ে নিলে খাওয়ার রুচি কমিয়ে দিতে খুব সাহায্য করবে। তাই যাঁরা অনেক চেষ্টা করেও নিজের খাওয়া কন্ট্রোল করতে পারেন না, তাঁরা চাইলেও বেশি খেতে পারবেন না। ডিম : দরকারি সব রকম পুষ্টি দেয় আর অনেকক্ষণ পেট ভরা ভাব ধরে লাখার জন্য ডিমের কোনো জুড়ি নেই। তাছাড়া রোজ সকালের নাশতার সঙ্গে ডিম খেলে দেহের ক্যালরিও যোগ হবে, ওজনও বাড়বে না। গ্রিন টি : গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩ কাপ গ্রিন টি শরীর থেকে সর্বোচ্চ ৭০ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে পারবে। সঙ্গে সঙ্গে ডায়েট আর ব্যায়াম করলে ওজন আগের চেয়ে দ্রæত কমবে। টক দই : পেটের মেদ কমাতে টক দইয়ের ভূমিকা অনেক। তাছাড়া হজমেও দই অনেক সাহয্য করে। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন অন্তত এক বাটি দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ওটমিল : পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে পারে ওটমিল। তাই অল্প একটু খেলে অনেকক্ষণ আর কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। হজমে সহায়তা করে আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এতে দ্রæত পেটের মেদ কমতে শুরু করে। তাই পরিমিত আহার ও চলাচল বজায় রাখা যেমন দরকার, তেমনি দরকার অধিক চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা। নাভির চার পাশে ও তলপেটে চর্বি জমলে সহজে যেতে চায় না। কিন্তু বিশেষ প্রক্রিয়ায় এই চর্বি সহজেই বের করে সুন্দর সুঠাম মেদহীন হওয়া যায় সহজেই।
চিকিৎসক-কলামিস্ট
মোবা : ০১৭১৬২৭০১২০।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন