শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

দেশের উন্নয়নে ব্যাংক ও ফিনটেকের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৯:০২ পিএম

দেশের প্রবৃদ্ধিতে ব্যাংক এবং ফিনটেক যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য একটি বিষয়। দেশের উন্নয়নে রেসপন্সিবল বিজনেস ও রেসপন্সিবল সাংবাদিকতার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকারদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। কারণ ফিনটেক বা ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি ছাড়া সামনের দিনগুলোতে উপায় নেই। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় অনেক বেশি ইনভেস্ট করতে হবে। বর্তমানে হ্যাকারদের প্রতিরোধ করতে যে টেকনোলজি প্রয়োজন তার দাম মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। আর এজন্য এক বা দুই ব্যাংকের মাধ্যমে এসব টেকনোলজি সংগ্রহ করে সবাই মিলে তার সুবিধা ভোগ করার পরিকল্পনা করতে হবে। মানুষ এখন ইট-দেয়ালের ব্যাংকের গ-ি থেকে বের হয়ে এসে ক্যাশলেস ব্যবসা ও অর্থনীতির দিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের তরুণ ভোক্তাগোষ্ঠি ক্রমেই ক্যাশলেস লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেছে। তারা মোবাইল ব্যাংকিং, বিভিন্ন ধরণের ক্রেডিট অ্যাপস্ ও ফাইন্যান্সিয়াল টুলস্ ব্যবহার করে স্মার্ট কনজ্যুমার হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলছে। এটা আমাদের জাতীয় অর্থনীতির একটি বিরাট গুণগত পরিবর্তন। আর এটা সম্ভব হয়েছে বিশ্ব বরেণ্য নেতা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর)সিনিয়র সাংবাদিকদের সংগঠন বিজেএফসিআই এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্যাংক-ফিনটেক কোলাবরেশন : এ উইন উইন সিচ্যুয়েশন’ শীর্ষক ব্যাংকার্স ডায়লগ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেএফসিআই’র চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইফুল আলম, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও সিইও ড. মাহমুদ হায়দার আলী মিয়া, বিকাশ এর সিইও কামাল-কাদির, এনআরবি ব্যাংকের এমডি মো. মেহমুদ হোসেইন, ট্রাস্ট ব্যাংক এমডি ফারুক মাইনুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। দেশের শীর্ষ ১১ ব্যাংক ও ফিনটেক কোম্পানির প্রধানদের ‘দি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস’এর বিশেষ প্রকাশনার উপর এ ডায়লগে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ উদ্যোগ ব্যাংক এবং ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজি কোম্পানি বা ফিনটেকগুলোর মধ্যে কার্যকর যোগসূত্র তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশের উদীয়মান আর্থিকখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা আনবে। একই সঙ্গে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান জোরদার করবে। তিনি বলেন, এমন এক সময় এ সংলাপ আয়োজন করা হলো, যখন বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ইনফরমেশন টেকনোলজি বিস্তারের মাধ্যমে চতুর্থ বিপ্লবের ধারা বয়ে চলছে। এটি হচ্ছে মোবাইল সফ্টওয়্যারভিত্তিক একটি শক্তিশালী বিপ্লব। রোবটিক টেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভারচ্যুয়াল রিয়েলিটি, ন্যানো- টেকনোলজি, বায়ো-টেকনোলজি ইত্যাদির আবিষ্কার ও প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন শিল্পখাতে বর্তমানে অসাধারণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন