ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে শুরু হলো দক্ষিণ এশীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ফেস্ট। দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান ফ্যাশন হাউজ, ফ্যাশন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক এ মেলার আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরা (আইসিসিবি)। আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
গতকাল সোমবার ১৮ দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রæপের কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান। আন্তর্জাতিক মানের এ মেলার সফলতা কামনা করেন তিনি। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ মেলায় দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশের ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশের প্রায় ৫০টি ফ্যাশন হাউজ অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বসুন্ধরা গ্রæপের প্রেস এবং মিডিয়াবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, বসুন্ধরা গ্রæপের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) মাহবুব হায়দার খান, আইসিসিবির হেড অব অপারেশন এম এম জসিমউদ্দিন প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন অতিথিরা। বসুন্ধরা গ্রæপের প্রেস এবং মিডিয়াবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, এ উৎসবের দু’টি দিক। সামনে ঈদ। আমাদের দেশের অনেক মানুষ কেনাকাটা করতে দেশের বাইরে যান। সাধ থাকার পরও যারা যেতে পারেন না, তাদের জন্য এখানে থাকবে দারুণ সুযোগ। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ফ্যাশন ডিজাইনারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাতে উপকৃত হবে দেশের ফ্যাশন শিল্প, চাহিদা তৈরি হবে দেশের বাইরেও। তিনি আরো বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি আইসিসিবি আমাদের দেশের আন্তর্জাতিক উৎসবগুলো আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আশা করি, প্রতি বছর এ উৎসবের ব্যাপ্তি বাড়বে।
কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আবাসন প্রকল্প দিয়ে শুরু করেছিল বসুন্ধরা গ্রæপ। এরপর একে একে যে জায়গায় হাত দিয়েছে, সেখানেই নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বসুন্ধরা। তিনি বলেন, দেশ এবং মানুষের কল্যাণে এত বড় জায়গা নিয়ে চার-পাঁচটি কনভেনশন সেন্টার হবে, এ ধারণা বাংলাদেশে কারোরই ছিল না। বসুন্ধরা তা করেছে। বসুন্ধরাই বাংলাদেশকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে গেছে। উৎসবের আয়োজন প্রসঙ্গে আইসিসিবির হেড অব অপারেশন এম এম জসিমউদ্দিন বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই লক্ষ করছিলাম, দেশে আন্তর্জাতিক মানের কোনো ফ্যাশন উৎসব হয় না। লাইফস্টাল বিষয়ক উৎসব তো হয় না বললেই চলে। এ অবস্থায় উৎসব আয়োজনে এগিয়ে এসেছে আইসিসিবি। প্রথম আয়োজন হলেও দেশ-বিদেশ থেকে আমরা প্রচুর সাড়া পেয়েছি। আশা করি, আগামী বছর এ উৎসবে পৃথিবীর নানা দেশের প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে’।
তিনি আরো বলেন, উৎসবে কেনাকাটাই মূল আকর্ষণ নয়। এতে ফ্যাশন নিয়ে থাকবে নানা সেমিনার ও কর্মশালা। মানুষ দেশ-বিদেশের সামগ্রী কিনতে পারবেন। পাশাপাশি নিত্যনতুন ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে পারবেন। বসুন্ধরা গ্রæপের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) মাহবুব হায়দার খান বলেন, বসুন্ধরা গ্রæপ সব সময়ই নতুন আইডিয়া নিয়ে উপস্থিত হয়। দেশ ও মানুষের কল্যাণে সেসব আইডিয়া এবং উদ্যোগ নানাভাবে উপকার করে। উৎসব উপলক্ষে বিনিয়োগ বাড়বে। মানুষের মধ্যে ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতনতাও বাড়বে। Ñপ্রেস বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন