বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারতের ঢলে তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫০ এএম

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শুকিয়ে যাওয়া তিস্তা ফিরে পেয়েছে চিরচেনা রূপ।

তিস্তায় পানি প্রবাহ বাড়ায় হাতীবান্ধা-বড়খাতা বাইপাস সড়কের পাকা রাস্তার উপর দিয়ে আশপাশের গ্রামগুলোতে ঢুকছে পানি। এ কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮১ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপরে। এ পয়েন্টের স্বাভাবিক পানি প্রবাহের রেকর্ড ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

গত সপ্তাহজুড়ে বিপদসীমার ৩৫/৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গত সোমবার রাত থেকে হঠাৎ বাড়তে থাকে তিস্তার পানি প্রবাহ। যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে বিপদসীমার ২১ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীর তীরবর্তী রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হাটখোলা সড়কের পাশে পানি আসা শুরু করেছে। এছাড়াও হাতীবান্ধা থেকে বড়খাতার বাইপাস সড়কের তালেব মোড় এলাকার সড়কটি আবারও ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
হঠাৎ তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের সবজি চাষের জন্য প্রস্তুত করা জমিতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাদের পুনরায় জমি কর্ষণ দিয়ে ফসল বুনতে হবে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামের অস্থায়ী বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। এসব বাঁধ ভেঙে গেলে তিস্তার পানি হাতীবান্ধা শহরে ঢুকে পড়বে। অন্যদিকে আদিতমারী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার না করায় হুমকির মুখে পড়েছে মহিষখোচার বেশ কয়েকটি অংশ।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ রাত ১২টা থেকে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত সবগুলো কপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সকাল হলে পানি প্রবাহ আবারও কমে যেতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন