চাঁদপুরে অধিকাংশ জুয়েলারি দোকানের বিরুদ্ধে সরকারের মূল্য সংযোগ কর (ভ্যাট) ফাঁকির দোয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পণ্য ক্রয়ের সময় ক্রেতা মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট বাবদ অর্থ প্রদান করেন। বিক্রেতা পণ্যের মূল্য নিজে গ্রহণ করে ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করার নিয়ম। কিন্তু তা না করে চাঁদপুর শহরের ১১০টি জুয়েলারির মধ্যে নামমাত্র ভ্যাট দিচ্ছে মাত্র ৪৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
জেলা শহরের বাইরে ছোট-বড় বাজারে বেশ কিছু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকারকে ভ্যাট প্রদান না করে ফাঁকি দিচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব। খোদ চাঁদপুর শহরে ৬৪টি জুয়েলারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই কোনো ভ্যাট দিচ্ছে না। তাদের নামে কাস্টমস অফিসে কোনো রিটার্ন জমা নেই। চাঁদপুর কাস্টমস ভ্যাট কর্মকর্তাদের কারসাজিতে জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতির নাম করে ভ্যাট দিচ্ছে নামমাত্র।
একদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। অন্যদিকে পার পেয়ে যাচ্ছে ভ্যাটের আওতায় থাকা স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। চাঁদপুর জেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছে প্রায় চার শতাধিক। জেলা কমিটিসহ প্রত্যেক উপজেলায় আলাদা আলাদা জুয়েলারি সমিতি রয়েছে। প্রত্যেক সমিতি আলাদা আলাদাভাবে সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছে। বর্তমানে চাঁদপুর পৌর এলাকায় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১১০জন।
সূত্র জানায়, জুয়েলারি সমিতি ১১০ জন থেকেই প্রতি মাসে ভ্যাটের নামে অর্থ আদায় করে নিচ্ছে আনুপাতিক হারে। সমিতি সরকারের কোষাগারে ভ্যাট জমা দিচ্ছে ৪৬ জনের নামে। এ ব্যাপারে জুয়েলার্স সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তফা ফুল মিয়া বলেন, সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে যে টাকা তোলা হয় তা সাংগঠনিক কাজে খরচ করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভ্যাটের নামে কোনো টাকা তোলা হয় না।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর ভ্যাট কর্মকর্তা কাস্টমস অফিসার বেলাল উদ্দীন জানান, আমাদের জনবল সমস্যা রয়েছে। চাঁদপুর ডিভিশনে ৭ এবং সার্কেলে ৬ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র একজন। তাই অনেক সময় সঠিক তদারকি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন