ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পরেও দলীয় টেন্টে আসায় তাকে ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে ধাওয়া দেয় বিদ্রোহী গ্রæপের কর্মীরা।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে ক্যম্পাসে আসেন। পরীক্ষা শেষে দলীয় টেন্টে যান রাকিব। এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়াদ্দার, ডে লেবার কর্মচারী রাসেল জোয়ার্দ্দারসহ ৫-৭ জন কর্মচারী এবং বহিরাগতরা উপস্থিত ছিলেন। রাকিব দলীয় টেন্টে বসার বিষয়টি জানতে পেরে জিয়া হল মোড় এলাকায় জড়ো হয় ইবি ছাত্রলীগ কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাকারীরা। পরে তারা ধাওয়া দেয় রাকিবকে।
এ সময় রাকিবুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান করছে জানতে পেরে মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে যায় তারা। সাথে সাথে ক্যম্পাস ছেড়ে চলে যায় রাকিব। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগ কর্মীরা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সাথে দেখা করেন। এ সময় তারা ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত করণ, ছাত্রলীগের মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করণের দাবি জানান।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমরাও বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস চাই। এ বিষয়ে তোমরা প্রক্টরকে সাহায্য কর। এ ছাড়া ছাত্রলীগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগপ্রপ্ত কোনো কর্মচারী জড়িত থাকলে বিষয়টি আমি দেখবো।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, পরীক্ষ দিতে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা দিয়ে টেন্টে কিছুক্ষণ অবস্থান করেই কুষ্টিয়া চলে এসেছি। পরে কি হয়েছে আমার জানা নেই।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রকিবুল ইসলাম রাকিব ক্যাম্পাসে আসলে তাতে ধাওয়া দিয়ে বের করে দেয় কর্মীরা। সেদিনও তার বিরুদ্ধে বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে আসার অভিযোগ তোলে কর্মীরা। এর আগে ৪০ লাখ টাকায় দিয়ে নেতা হয়ে আসার অডিও ফাঁস হলে তাকে ক্যম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কর্মীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন