নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী থেকে ঃ ঈদুল ফিতরের বাকী আর মাত্র কয়েক দিন। ঈদে সেমাইয়ের কদর সবচেয়ে বেশি, গোশত-পোলাওয়ের সাথে একটু সেমাই চাই-ই চাই। তাই ওই সেমাই তৈরীতে এখন মহাব্যস্ত সময় পার করছেন রাজবাড়ীর কারখানাগুলোর কারিগররা। রাজবাড়ীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় শাওন ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, কাজী ফুড প্রোডাক্ট, দিন ফ্লাওয়ার নামে ৩ টি কারখানায় তৈরি হয় সেমাই। ঈদুল ফিতর প্রায় সমাসন্ন। তাই ঈদ কেন্দ্র করে এই ৩ কারখানার প্রায় ২ শতাধিক কারিগর এখন ব্যস্ত সেমাই তৈরির কাজে, তাদের যেন দম ফেলারও সময় নেই। কাজের ফাঁকে কথা হয় কারিগরদের সাথে। সেমাই কারিগররা জানান, সারা বছর কাজ কম থাকলেও ঈদের সময় দিনরাত কাজ করতে হয়। কারণ, এ সময় সেমাইয়ের চাহিদা বেশি থাকায় বলতে গেলে সমগ্র রমজান মাসে তাদের দম ফেলার সময় থাকে না। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেমাই তৈরির কাজ।
প্রথমে ময়দা মেশিনের সাহায্যে সুতার মতো সেমাই তৈরি করা হয়। এরপর রোদে শুকিয়ে ভাজা হয় আগুনে। তারপর প্যাকেটজাত করা এবং সবার শেষে বাজারজাত করা হয়। কারিগররা আরো জানান, এই সেমাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে প্রস্তুত করে থাকেন তারা। এ তিনটি কারখানায় প্রতিদিন ১৫ শ’ কেজি সেমাই উৎপাদিত হয়ে থাকে। এখানকার সেমাই রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরাসহ দেশের নানা এলাকায় রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
বিসিক শিল্প নগরী রাজবাড়ীর সহকারী মহা ব্যবস্থাপক সুভাষ কুমার বিশ্বাস জানান, সেমাই শিল্পের সাথে জড়িত মালিক ও শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত বিধিমালা মেনে যেন তারা সেমাই তৈরি করে। যদি কেউ নোংরা পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত করে থাকে তাহলে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন