আগামীর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর ধারা বাহিকতা বজায় থাকলে ২০২১ সালে মংলা হবে বিশ্বের অন্যতম সমুদ্র বন্দর। মংলা বন্দরের উপদেষ্টা কমিটির সভায় এমন মন্তব্য করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন মংলা বন্দরসহ খুলনা ও বাগেরহাটকে খালেদা জিয়া ও এরশাদ গোষ্ঠীরা মৃত বানিয়েছিল । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই অঞ্চলটাকে জীবন দান করেছেন বলে উলেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ বন্দর আগামী তিন চার বছরের মধ্যেই সম্ভাবনার বন্দরে পরিণত করার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।এসময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মংলা বন্দর এখন আমাদের দেশীয় বন্দর নাই, এই বন্দরের সুযোগ সুবিধা এখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রও গ্রহণ করছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টায় তিনি বন্দর জেটি এলাকাসহ বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন শেষে বন্দরের সভাকক্ষে উপদেষ্টা সভায় যোগ দেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সংসদ সদস্য ডাক্তার মোজ্জাম্মেল হোসেন, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপটেন এম মিনারুল হক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার খুলনা লুৎফুল কবির, বারবিডা সভাপতি আবদুল হক, খুলনা চেম্বারের সহসভাপতি মোস্তফা জেসান ভূট্ট, মংলা বন্দর ষ্টিভিডরস এসোসিশেনের সভাপতি মোঃ জাহিদ হোসেন,নৌ-পরিবহন মালিক সমিতির সহাসচিব পল্টু খান, মংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মংলা পৌর সভার মেয়র জুলফিকার আলীসহ বন্দরের উদ্ধোতন কর্মকর্তা ও বন্দরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ।
সভার শুরুতে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোজ্জাম্মেল হক বন্দরের চলমান সকল প্রকল্প ও প্রয়োজনীয় ইকুপমেন্ট সম্পর্কে বন্দর প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। সভায় বন্দরের বিদ্যমান নানা সমস্যা তুলে ধরে ব্যবসায়ীরা বলেন, বন্দরের কন্টেইনার ইয়ার্ড ব্যবহারের অযোগ্য তাই একটি নতুন শেড নির্মানের দাবি করেন। মংলা পোট পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, খুলনার রুজবেল্ট জেঠির আদলে মংলা বন্দরে একটি আধুনিক জেঠি নির্মান এবং সুপেয় পানি সংরক্ষনের জন্য সু ব্যবস্থা করতে হবে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর সক্ষমতা কাজে লাগাতে একটি ডিপো নির্মানের দাবি করেন বাগেরহাট চেম্বারের সভাপতি লিয়াকত আলী। বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ কুমার মংলায় একটি বন্দর থানা নিমার্নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন । নৌ চলাচল নিরাপদ রাখতে বন্দর চ্যানেলে নেভিগেশন ব্যবস্থা উন্নোতি করার আহবান জানানো হয় নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে।
সভায় মংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজ্জাম্মেল হক সকলের উদ্দ্যেশে জানান, মংলা বন্দর সংলগ্ন বিমান বন্দর.তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র,রেল লাইন ,পদ্মা ব্রীজ নির্মিত হলে দিগুন রাজস্ব আয় করবে মংলা । সভা শেষে বিকালে মংলা বন্দরের নব নির্বাচিত কর্মচারী সংর্ঘের দায়িত্ব গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগদেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথম বারের মতো মংলা বন্দর পরিদর্শন করলেন উপমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন