রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

স্বস্তির জয়ে শেষ আটে আবাহনী

প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের জনপ্রিয় আসর ওয়ালটন ফেডারেশন কাপে স্বস্তির জয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ‘এ’ গ্রæপ রানার্সআপ হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পেয়েছে তারা। ইতোমধ্যে এই গ্রæপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টারে উঠেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গ্রæপের শেষ ম্যাচে আবাহনী ১-০ গোলে হারায় ফেনী সকার ক্লাবকে। বিজয়ী দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার লি টাক। এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল ফেনীর দলটি। অন্যদিকে টিম বিজেএমসির কাছে ২-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
প্রথম ম্যাচে আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রæপে আরামবাগ দু’ম্যাচে চার পয়েন্ট তুলে নেয়ায় শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলো না আবাহনীর। অন্যদিকে ফেনী সকার ড্র করলেই পৌঁছে যাবে শেষ আটে। এমন সমীকরণে জয় হলো আকাশী-হলুদদেরই। ম্যাচে স্বপ্নের সূচনাই পায় তারা। কাল ম্যাচ শুরুর ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল পেয়ে যায় আবাহনী। যা বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসের দ্রæততম গোল। রেফারি জসিমউদ্দিনের বাঁশিতে খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবাহনী ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন বল ঠেলে দেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবাকে। এসময় ডান উইংয়ে থাকা আবাহনীর ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার লি টাক কোনাকুনি দৌড় শুরু করেন। সানডে মাপা ক্রসের বল লি টাকের কাছে গেলে তিনি ঠাÐা মাথায় নিজ মার্কারকে কাটিয়ে বাম পায়ের কোনাকুনি প্লেসিং শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। মাঠের পাশে স্টপওয়াচে তখন সময় মাত্র ৪৫ সেকেন্ড। দ্রæততম সময়ে গোল পেয়ে ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়েই লড়ে আবাহনী। তারা একের পর এক আক্রমণ করে প্রতিপক্ষ রক্ষণদুর্গকে তছনছ করে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের পুরো ম্যাচে আর কোনো গোল পায়নি তারা।
১৯ মিনিটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের করে নিতে পারত আবাহনী। কিন্তু সানডে চিজোবা সহজ সুযোগ পেয়েও গোল করতে না পারায় তা আর হয়নি। এসময় লি টাকের ক্রসে বক্সের মধ্যে ব্যাক হিল করেছিলেন নাবির নেওয়াজ জীবন। বল যায় সানডের কাছে। কিন্তু নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল বাইরে মারেন। তবে আবাহনীর আক্রমণ প্রতিহত করে ফেণী সকার পাল্টা আক্রমণে সুযোগ সৃষ্টি করলেও তা কাজে লাগেনি। ম্যাচের ৩২ মিনিটে ফেনীর ফরোয়ার্ড আকবর হোসেন রিদন বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে শট নিলে তা সরাসরি আাবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের গ্রিপে চলে যায়। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও বিরতির পর আক্রমণের ধার কামায় না আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধে লি টাক কয়েকটি সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। ফলে গোলও হয়নি। সানডে চিজোবা তার অফ ফর্ম অব্যাহত রাখেন। দ্বিতীয়ার্ধে ফরোয়ার্ড জীবনকে বদলে আবাহনী কোচ জর্জ কোটান মাঠে নামান ওয়াহেদকে। কিন্তু ওয়াহেদও গোলের দেখা পাননি। ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে (৯০মিনিট) ওয়াহেদের করা থ্রু পাস নিজ আয়ত্তে নিয়ে সানডে চিজোবা ফেনীর গোলরক্ষক সুজন চৌধুরীকে একা পেয়েও ব্যর্থ হন। বল মারতে দেরি করেন তিনি। পরে তার শট নিলে ডিফেন্ডার জহিরুল প্রতিহত করেন। ফলে একমাত্র গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আবাহনীকে।
একই মাঠে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টিম বিজেএমসি ২-১ গোলে মোহামেডানকে হারিয়ে ‘ডি’ গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পেলো। বিজয়ী দলে পক্ষে ম্যাচের ৩৪ ও ৮৩ মিনিটে ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান তপু দুটি গোল করেন। ৬৬ মিনিটে মোহামেডানের হয়ে এক গোল শোধ দেন আহসানুল হক মিলন। এই জয়ে বিজেএমসি দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়ে শেষ আটে উঠেছে। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রæপ রানার্সআপ হয়ে রহমতগঞ্জ তাদের সঙ্গী হয়েছে। আর দুই ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পেয়ে বিদায় নিয়েছে মোহামেডান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন