মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাণীনগরের কাটরাশইন-গহেলাপুর গ্রামীণ রাস্তা খানা-খন্দে ভরা মরণ ফাঁদ

নজর নেই কর্তৃপক্ষের

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৬:২৭ পিএম

নওগাঁর রাণীনগরের কাটরাশইন-গহেলাপুর যাওয়ার একমাত্র গ্রামীণ রাস্তার মাঝে মাঝে বড় বড় খানা-খন্দে ভরপুর। রাস্তার কোথাও কোথাও পুরো অংশ ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে প্রতিনিয়তই স্কুলের শিক্ষার্থীসহ যাত্রী সাধারণদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আর ঘটেই চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনার।

বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বধ্য পরিকর সেখানে গ্রামীণ এই রাস্তার বেহাল দশার দীর্ঘ সময় পার হলেও তা সংস্কার করার কোন খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। রাণীনগর উপজেলার কাটরাশইন-গহেলাপুর রাস্তার প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে খানা-খন্দে ভরা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে পোঁওয়াতাপাড়া, কাটরাশইন, গহেলাপুরসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষদের প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হয়। চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র পথ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে কোন মতে চলাচল করা গেলেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে। দিনে কিংবা রাতে চলাচলের সময় রাস্তার বেঙ্গে যাওয়া অংশে উল্টে পড়তে হয় মানুষদের। যাতায়াত করতে পারেনা ভ্যানগাড়ী, সাইকেলসহ ছোটখাটো যানবাহন।

কাটরাশইন গ্রামের মন্টু সেপাই বলেন আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি। যার কারণে দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীন এই অবহেলিত মরণ ফাঁদ রাস্তায় এখনো পর্যন্ত আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই লাগেনি। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি এখনোও বেহাল দশায় পড়ে আছে।
বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম শফু বলেন এই রাস্তা সংস্কারের জন্য সকল কাগজপত্রাদি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জমা দিয়েছি। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান মিঞা বলেন, এই রাস্তার বেহাল দশা সংস্কারের জন্য উপড়মহল বরাবর প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন