রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, তথ্য অধিকার আইন একটি জনকল্যাণকর আইন। দেশের সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সকল স্তরে দুর্নীতি দূরীকরণের একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে তথ্য অধিকার আইনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আগামীকাল ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তথ্য সবার অধিকার : থাকবে না কেউ পেছনে আর’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
তিনি বলেন, সরকার এবং রাষ্ট্রের নিকট হতে তথ্য পাওয়ার অধিকার বিশ্বব্যাপী একটি মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে জনগণের চিন্তা, বিবেক ও বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে তথ্য জানার অধিকারকে প্রাধান্য দিয়েই প্রণয়ন করা হয়েছে ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’ এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নে তথ্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার পাশাপাশি এ আইনের যথাযথ প্রয়োগে তথ্য কমিশনকে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জনগণের তথ্য জানার অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে এবং তথ্য সেবা নিশ্চিত করতে তথ্য কমিশন অনলাইন প্রশিক্ষণ ও অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম কার্যক্রম গ্রহণ করেছে জেনে আমি আনন্দিত। এর ফলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আইনের সুফল ভোগ করতে পারবে এবং তথ্য জানার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।’
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০১৯ পালনের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে, সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন