শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন প্রেসিডেন্ট

বাসস | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:২৩ এএম | আপডেট : ১০:৩২ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
জন্মদিনের প্রাক্কালে আজ এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আরো বলেন, একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শেখ হাসিনা শৈশব থেকেই রাজনৈতিকভাবে সচেতন ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে ওঠেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে জড়িত হন। তিনি পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর জীবন কখনো মসৃণ ছিল না। আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তুক রাতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য শাহাদাত বরণ করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় এ বর্বরোচিত হত্যাকান্ড থেকে বেঁচে যান।
আবদুল হামিদ বলেন, বাবা, মা, ভাই ও অন্যান্যদের হারিয়ে তারা দিল্লী ও লন্ডনে ৬ বছর খুবই দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে প্রবাস জীবন-যাপন করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বহু বাধা-বিঘœ অতিক্রম করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ প্রবাস জীবন থেকে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, মাতৃভূমিতে ফিরে এসে শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত হয়।
আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয় লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। সরকার গঠনের পর প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি এবং গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে ১৪ দল ক্ষমতায় আসে এবং জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই মেয়াদে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসে। এই মেয়াদে যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের স্থল সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার ক্ষমতায় আসে এবং ইতিহাস সৃষ্টি করে। এ নিয়ে শেখ হাসিনা পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাবে বলে প্রেসিডেন্ট আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন