সাকিব আল হাসান মানেই যেন আস্থার এক নাম। জাতীয় দল হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট, ঘরের মাঠ হোক কিংবা বিদেশের মাটি, কন্ডিশন যাই হোক খেলোয়াড়টি সাকিব হলেই অধিনায়কের আস্থা থাকে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গতকাল ভোরে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। অধিনায়ক জেসন হোল্ডার বোলিং শুরু করিয়েছেন তাঁকে দিয়ে। ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে সাকিবকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন তার পছন্দের পজিশন তিনে। ব্যাট-বল দুই বিভাগেই সেরা পারফরম করে হোল্ডারের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার। তবে খুশি মনে মাঠ ছাড়তে পারেননি। সাকিবের দল যে ‘থ্রিলার’ লিখে হেরেছে!
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের কাছে ১ রানে হেরেছে ট্রাইডেন্টস। রোমাঞ্চভরা ম্যাচে শেষ ওভারে ১২ রানের দরকার ছিল নেভিসদের। এ ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে ১০ রান তুলতে পারে তারা। আর তাতে প্লে অফ নিশ্চিত হয় সেন্ট কিটস। হারলেও বার্বাডোজের প্লে অফের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি এখনও।
এর আগেও ট্রাইডেন্টসের ইনিংস মাঝপথ পর্যন্ত টেনে নিয়েছেন সাকিবই। তৃতীয় ওভারে দলীয় ১ উইকেটে ১৫ রানে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। ওপেনার অ্যালেক্স হেলসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪১ রানের জুটি। ১২তম ওভার পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২৫ বলে করেছেন ৩৮ রান।
সাকিব যখন আউট হন ৫২ বলে ৬৫ রান দরকার ছিল ট্রাইডেন্টসের। হাতে ছিল ৭ উইকেট। জেপি ডুমিনি, হোল্ডার ও নার্সরা থাকতেও এখান থেকে ম্যাচটা জিততে পারেনি ট্রাইডেন্টস। বলা যায়, তীরে গিয়ে তরি ডুবেছে।
তার আগে প্যাট্রিয়টসের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৪৯ রানে। দলটির ইনিংসকে উড়তে না দেওয়ার নেপথ্য কারিগরও সাকিব। মেডেন নিয়ে শুরু করেছিলেন বোলিং। পরের ওভারে দিয়েছেন ৪ রান। নিজের তৃতীয় ওভারে ৬ রান দিলেও শেষ ওভারে এসে উইকেটের দেখা পান সাকিব। তুলে নেন বিপজ্জনক কার্লোস ব্রাফেটকে। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেন ১৪ রানে ১ উইকেট- এই হলো সাকিবের বোলিং ফিগার। বল হাতেও দলের হয়ে সেরা পারফরম্যান্স সাকিবের। আফসোস, শুধু জয়টাই পেলেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন