কর্তারপুর করিডর প্রসঙ্গেও প্রকাশ্যে ভারত-পাকিস্তান তিক্ততা। করিডরের উদ্বোধনে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিবর্তে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এমনই জানিয়েছেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। সংবাদসংস্থা এএনআইকে কুরেশি জানিয়েছেন, ‘ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে চাই। উনি একজন শিখও। আমরা শিগগিরই আমন্ত্রণ পত্র পাঠাব।’
পাঞ্জাব সীমান্তে ভারতের ডেরা বাবা নানক থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার পর্যন্ত পুণ্যার্থীদের ভিসা ছাড়া যাতায়াতের জন্য কর্তারপুর করিডর তৈরি করেছে দুই প্রতিবেশী দেশ। ৯ নভেম্বর এই করিডরের উদ্বোধন হওয়ার কথা। তবে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের জেরে ক্রমাগত সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের। জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দিতে গিয়েও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তান যে কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাবে না, সেটা আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল। তবে চমক দিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী মোদির পরিবর্তে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনকে আমন্ত্রণ জানাল ইসলামাবাদ। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি জানিয়েছেন, ‘ড সিং পাকিস্তানেও অত্যন্ত শ্রদ্ধেও। এই কারণেই আমরা তাকে আমন্ত্রণ জানাব।’
তবে কর্তারপুর করিডর নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিবাদ শুরু থেকেই। সম্প্রতি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কর্তারপুর করিডর সংক্রান্ত কমিটিতে খালিস্তানি নেতা গোপাল সিং চাওলাকে রাখা হয়েছিল। মুম্বাই হামলার অভিযুক্ত লস্কর জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই চাওলাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলে নয়াদিল্লি।
প্রসঙ্গত, গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গড়ে তোলা হচ্ছে কর্তারপুর করিডর। প্রস্তাবিত করিডর দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টধারী ও প্রবাসী ভারতীয় কার্ড রয়েছে এমন ব্যক্তিরা বিনা ভিসায় কর্তারপুরে যেতে পারবেন। প্রতি দিন ৫ হাজার পুণ্যার্থীকে যেতে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। সূত্র: টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন