শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গাছের গুড়ি, আঠা ও রং মিশিয়ে ৩০ ধরনের মশার কয়েল তৈরী হচ্ছিল কারখানাটিতে

সাভার সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:০৬ পিএম

গাছের গুড়ি, আঠা ও রং মিশিয়ে ৩০ ধরনের মশার কয়েল তৈরীর একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। দিনভর অভিযানে কারখানায় তৈরী বিপুল পরিমাণে কয়েল ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৪কর্মচারীকে জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার ঢাকার সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজাশন মহল্লায় অবস্থিত ‘রোকশানা কেমিক্যাল ওয়ার্কস’ কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ জানান, গাছের গুড়ি, আঠা ও রং মিশিয়ে তুলসী পাতা, জনতা, টাইগার, এসটিসি এন্টি ডেঙ্গু, সুপার কিং, ডলফিন, সুপার ফাইটার, নীম, ঈগলু ম্যাক্সসহ ৩০ ধরনের ভেজাল মশার কয়েল তৈরীর করে তা দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করে আসছিল রোকশানা কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর মালিক মো: আনিস।

কোন রকম অনুমোদন না নিয়ে শুধু একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে কারখানা পরিচালনা করে আসছিল আনিস।
কারখানা থেকে জব্দ কয়েল তৈরীর ৪২বস্তা কাঁচামাল, ৫০হাজার পিচ তৈরী কয়েল ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১৯৩কার্টুন বিভিন্ন নামের তৈরী কয়েল জব্দ করা হয়েছে।
কারখানার মালিক মো: আনিস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে। এবং কারখানার ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম, বিক্রয় প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, শেখ ফরিদ ও কর্মচারী মো: রুবেলকে এক মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

কারখানার শ্রমিক ইভা ও কহিনুর জানান, তাদের কারখানায় ১২জন শ্রমিক কাজ করে। মালিক মাঝে মধ্যে আসে। ম্যানেজার দেখাশুনা করে। তবে কারখানার অনুমোদন আছে কিনা তা তারা জানে না। প্রায় দুই বছর যাবত কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।

বিএসটিআইএর পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, বিএসটিআইএর অনুমোদন না নিয়েই শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ৩০ধরনের ভেজাল কয়েল তৈরী করে বাজারজাত করে আসছিল কোম্পানিটি। কয়েল তৈরীতে যে ক্যামিক্যাল তারা ব্যবহার করছে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেও জানান তিনি।
অভিযানে র‌্যাব-৪এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজলসহ অন্যান্য র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন