ক’দিন আগে নিজেই সন্দেহ পোষন করেছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সময়মত শুরু হওয়া নিয়ে। অবশেষে সেই অনিশ্চয়তা দূর করলেন টুর্নামেন্টটির টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। বেশ কিছু দিন থেকে বিপিএল নিয়ে ঘটা করে কিছু না জানালেও ভেতরে ভেতরে কাজ অনেকটাই গুছিয়ে ফেলার কথা জানিয়েছেন তিনি। বোর্ড পরিচালক ও বিসিবির মিডিয়া কমিটির দায়িত্বে থাকা এই সংগঠক গতকাল জানান, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির আসর কোন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ছাড়া আয়োজন করতে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন তারা, ‘আমি আগেও বলেছি ৬ ডিসেম্বর যে শিডিউল দেওয়া আছে, এখন পর্যন্ত সেটাই আছে। এরজন্য ক্রিকেট বোর্ডে কিন্তু কাজ শুরু হয়ে গেছে। যেসব পেপার ওয়ার্ক করার কথা তা চলছে। তা হয় গেলেই আমরা খুব শীঘ্রই দলগুলো স্পন্সর নিয়ে আমরা বসব।’
জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবারের বিপিএল বিশেষভাবে আয়োজনের কথা বলেছিলেন বোর্ড সভাপতি। ফ্রেঞ্চাইজিদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর নামে বিশেষ এই বিপিএলের ঘোষণার পর টুর্নামেন্টের বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হয়নি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ সোহেল ও সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক দুজনেই আছেন দেশের বাইরে। এই মুহূর্তে ভারতের বেঙ্গালুরুতে থাকা বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক মল্লিক গতকাল বিকেলে জানালেন, বিপিএল ঠিক সময়ে আয়োজন করা হবে, ‘এখনো পর্যন্ত ৬ ডিসেম্বরই থাকছে (বিপিএল শুরু হওয়ার তারিখ)। সোহেল ভাইও (শেখ সোহেল, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান) দেশে নেই। তিনি এলে আমরা বসব। তবে কাজ কিন্তু হচ্ছে। আকরাম ভাই কাজ করছেন। আর এবার বিপিএলের বিষয়টি বোর্ড সভাপতি নিজেই দেখছেন। নির্ধারিত সময়েই টুর্নামেন্ট হয়ে যাবে আশা করি।’
আগামী শুক্রবার কিংবা শনিবার ইসমাইল হায়দারের দেশে ফেরার কথা। শেখ সোহেলও যদি এর মধ্যে চলে আসেন, আগামী সপ্তাহে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান হয়তো বসবেন।
এবারের বিপিএল কোন ফরম্যাটে খেলা হবে, দলগুলোর নাম কি হবে, দেশি-বিদেশী খেলোয়াড়দের প্লেয়ার ড্রাফটের বিস্তারিত থেকে গেছে অন্ধকারে। বাতিল হয়ে যাওয়া ফ্র্যঞ্চাইজিদের সঙ্গে এরই মধ্যে যেসব বিদেশী ক্রিকেটার চুক্তি করেছিলেন তাদেরই বা কি হবে। তাও পরিষ্কার হয়নি এই কদিনে। তবে জালাল ইউনুস জানালেন এসব কাজ তারা অনেকটাই এগিয়ে এনেছেন। কেবল বিশেষ প্রয়োজনে এবার যেসব বদল আনা হবে তা প্রযোজ্য হবে কেবল এই আসরের জন্যই, ‘ফরম্যাট আগে যেমন ছিলো অলমোস্ট একই থাকবে। চারজন বিদেশী খেলোয়াড় যেটা আগে ছিলো, ৪ জনই থাকছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি আগে কোন প্লেয়ারের সঙ্গে যদি চুক্তি করে থাকে। আর তাঁরা যদি ফ্রি থাকে -তাহলে আমরা তাঁদেরকে অফার করতে পারি যে তারা অংশ নেবে কিনা। আমরা আগেই বলেছি এটা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। এটা স্পেশাল এক এডিশন। আর এটা একটা আসরেই হবে। আমরা যখন ইওআই দিয়েছিলাম সেখানেও উল্লেখ করেছিলাম যে এটা কেবল এক বারের জন্য।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন