স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যারিয়ারের ২৩তম শতকের মাধ্যমে ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন হাশিম আমলা। কোন নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এটিই সবচেয়ে কম ইনিংসে (১৪) ১ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানের রেকর্ড। তার ব্যাটে ভর করেই প্রথমবারের মত ৩শ’ পেরুনো ইনিংস দেখল ত্রিদেশীয় সিরিজ। কিন্তু এটি ছিল স্টেড কিডসের ছোট্ট মাঠ ওয়ার্নার পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকানদের প্রথমার্ধের গল্প।
পরের অর্ধে জড়িয়ে আছে আরেক রোজাদারের নামÑ ইমরান তাহির। বল হাতে এই স্পিনার একাই ৪৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ধ্বসিয়ে দেন ক্যারবিয় ইনিংস, কোন দক্ষিণ আফ্রিকান হয়ে এটিই বেস্ট বোলিং ফিগার। ১৬ রানে ৬ উইকেট (বাংলাদেশের বিপক্ষে) নিয়ে এতদিন এই রেকর্ড ছিল কাসিগো রাবাদার দখলে। তৃতীয় স্পিনার হিসেবে একাই ৭ উইকেট নিলেন তিনি। এর আগে এই কীর্তি গড়েন শহীদ আফ্রিদি (৭/১২ প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ’২০১৩) ও মুত্তিয়া মুরালিধরনের (৭/৩০ প্রতিপক্ষ ভারত’২০০০)। সব মিলে ওয়ানডেতে নবম বেস্ট বোলিং ফিগার এটি। একই দিনে দেশের সবচেয়ে দ্রæততম ১০০ উইকেট শিকারীও বনে যান ডান হাতি এই লেগ স্পিনার।
৩শ’ রান তাড়া করে জয়ের কোন রেকর্ডই নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের, এরপর আবার তাহির টর্নেডো। ৮২ রানের উদ্বেধনী জুটির পরও তাহির বোলিংয়ে আসতেই লÐ ভÐ হয়ে গেল সব। ২০৪ রানেই গুটিয়ে গেল জেসন হোল্ডারবাহিনী। ব্রেথওয়েট ও সোলেমান বেন বাদে দলের সবাই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক। সর্বোচ্চ ৪৯ চার্লসের। এরপরও ১৩৯ রানের পরাজয়টাও হয়ে রইল ঘরের মাঠে তাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাজয়ের রেকর্ড। তাহিরের পাশাপাশি ২টি উইকেট নেন আরকে স্পিনার তাবরাইজ শামসি। নন-এশিয়ান প্রথম দেশ হিসেবে এক ইনিংসে ৯ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়ল প্রটিয়ারা স্পিনাররা।
এর আগে টস জিতে বল বেছে নিয়ে বড্ড ভুল করেছিলেন হোল্ডার। আমলা-ডি কক উদ্বোধনী জুটিতেই ৩৩ ওভারে যোগ করে ১৮২ রান। ৯৯ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১১০ রান করেন আমলা। ১০৩ বলে ৭১ রান কওে ফেরেন ডি কক। ৪ উইকেটে প্রটিয়াদের ৩৪৩ রানের সংগ্রেহে কার্যকরী অবদান ছিল ক্রিস মরিস (২৬ বলে ৪০), ফাফ ডু প্লেসিস (৫০ বলে ৭৩) ও ডি ভিলিয়ার্সেরও (১৯ বলে ২৭)। ম্যাচ সেরা তাহির তার প্রতিক্রিয়া জানান এভাবে. “আমি আসলেই গর্ব অনুভব করছি। এমন ঘটনা যখন ঘটবে তখন আপনি আসলেই অন্যরকম ভালো অনুভব করবেন। নেটে কঠোর পরিশ্রমের ফল এটি।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন