বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভা করেছে যুক্তরাষ্ট্রস্থ মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ। ভার্জিনিয়ার ফলস চার্চের একটি রেস্তোরাঁয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তার সমর্থনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সময়ে সভায় মেট্রো ওয়াশিংটন আ.লীগের উপদেষ্টা শাহজাহান মিয়া, দফতর সম্পাদক আসিফ চৌধুরী রায়হান, সদস্য রিমন সর্দার, সদস্য লুৎফর রহমান সেতু, সদস্য মনির হোসেন, সদস্য শহীদুল ইসলাম, বিটু, যুবলীগের সহ-সভাপতি হাসানুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক আজিম আযর, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান, জামাল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ-সভাপতি উত্তম মণ্ডল, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আমিন নুরুর সভাপতিত্বে এবং মাহমুদুন্নবী নবী বাকীর সঞ্চালনায় সভার শুরুতেই সম্প্রতি নিহত আবরার ফাহাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনার্থে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রফেসর জিয়াউদ্দিন খান, সহ-সভাপতি মোহান্মদ আযম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সদস্য ফরিদুল ইসলাম, সদস্য শাহরিয়ার আলমগীর, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রাবিউল ইসলাম রাজু, সাধারণ সম্পাদক সর্বজিৎ দাস তুর্য, সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক সাজ, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম। নুরুল আমিন নুরু সমাপনী বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, চলমান মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। প্রধানমন্ত্রী নিজ দলে শুদ্ধি অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের জনগণ ও বিরোধী দলগুলোর ভেতরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকতে পারে, তবে এ ধরনের ভালো কাজে ঐক্য থাকতে হবে।
সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ক্যাসিনো মালিকরা যেন কারোর ছায়াতলে আশ্রয় না পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এতে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ রক্ষা পাবে। তাদের যদি এসব জঘন্য কাজ থেকে রক্ষা করতে না পারি, সামনে তা দেশের জন্য অশনি সংকেত। অভিযানটিকে কলঙ্কিত ও হালকা করতে অনেকেই নানা তদবির এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টোপ দিতে পারে, তারা যেন দেশ-জাতির জন্য কাজ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন এবং এই নীতিতে অবিচল রয়েছেন। কিন্তু তার ঘোষণার প্রতি দলের অনেকেই গুরুত্ব না দিয়ে আখের গোছানোতেই ব্যস্ত ছিলেন। তিনি এখন কারো কোনো নালিশ শুনতে চান না। ছাত্রলীগের পর যুবলীগ ধরেছেন। বাকিদেরও ধরবেন। তার এমন দৃঢ় মনোভাবের কারণে আতঙ্কে আছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় অনেকেই।
তারা বলেন, বিশেষ করে, যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, আধিপত্য বিস্তারে ক্যাডার বাহিনী পালন করার অভিযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবেসে প্রাণ দিয়েছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা বারবার বলেছেন, তিনি এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। তার মানে তো এই নয় যে দলের কিছু নেতা বা কর্মী সুযোগ বুঝে দল ও সরকারের নাম ভাঙিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করে যাবেন। আমরা চাই অভিযান চলমান থাকুক। এর মাধ্যমে শুধু দল ও সরকার পরিশুদ্ধ হয়ে উঠবে তা নয়, দেশের সর্বস্তরের দুর্নীতিবাজরা সতর্ক হয়ে যাবেন এবং অনিয়ম-দুর্নীতি করার দুঃসাহস দেখাবেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন