অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম বিশ্বকে একজোট করার চেষ্টা করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ঠিক সেই সময়েই প্রথম ভারত-সউদী সহযোগিতা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে চলতি মাসের শেষের দিকে রিয়াদে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বর্তমান ভূকৌশলগত রাজনীতির খেলায় মোদির রিয়াদ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকেরা। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় মঞ্চ ওআইসি-র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অনেক চেষ্টা করেও সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত অথবা বাহরাইনের মত দেশগুলোকে ভারতের কাশ্মীর নীতির বিরোধিতায় পাশে পায়নি পাকিস্তান। বরং গত মাসের শেষে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইমরান খানের দেওয়া পরমাণু হুমকির সমালোচনাই করেছিল সউদী। পরে পাকিস্তান নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, ভারতের ‘বিশাল বাজারের হাতছানিতে’ অনেক দেশ জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে চোখ বুজে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-বিরোধী প্রস্তাব আনার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভক্ত ওআইসি। এক দিকে প্রস্তাব আনার পক্ষে রয়েছে পাকিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো। অন্য দিকে সউদী, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন এর বিরোধিতা করছে। মোদি তার আসন্ন সফরে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ভাবে রিয়াদকে আরও কাছে টানার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সূত্রের খবর, ভারতে শক্তি, তেল, কৃষি, খনিজ, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ করতে চলেছে সউদী আরব। পাশাপাশি মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সমন্বয় বাড়ানো নিয়েও আলোচনা ও চুক্তিপত্র সই হওয়ার কথা রয়েছে দু’দেশের। কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল রিয়াদে যেয়ে পুরো নকশাটি তৈরি করে এসেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের দাবি, সউদী যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে মোদির রসায়ন অনেকটাই সাহায্য করছে পশ্চিম এশিয়ায় রাজনীতিতে ভারতকে সুবিধেজনক জায়গায় নিয়ে যেতে। ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা আক্রমণের পরে ভারত সফর করেছিলেন সালমান। সে সময়ে ইসলামাবাদ সফর করে তার নয়াদিল্লিতে আসার কথা ছিল। কিন্তু মোদির অনুরোধে তিনি সফরসূচি বদলে ফেলে পৃথক ভাবে ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন