এবার জামাত-এ-ইসলামির ৯০ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। অধিৃকত জম্মু ও কাশ্মীরের আনন্তনাগ জেলা প্রশাসন ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে শনিবার। রাজ্য তদন্তকারী সংস্থার পরামর্শে জেলাশাসকের নির্দেশে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
প্রশাসনের তরেফ এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এসআইএ রাজ্যজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। তাতেই ভূস্বর্গের মোট এগারোটি এলাকায় জামাতের সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ি, অফিস, বাগান, জমি ইত্যাদি। ওই সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় ৯০ কোটি রুপি। জেলাশাসকের নির্দেশে যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সম্পত্তিগুলিকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতাকামীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। সংগঠনটিকে আরও দুর্বল করে দিতেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
রাজ্যের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ অতি সামান্য। রাজ্যজুড়ে সংগঠনের মোট ১৮৮টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। যার বাজার মূল্য কয়েক গুণ বেশি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জামাত-ই-ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ওই সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২০০ জন জামাত কর্মীকে। কেন্দ্রের দাবি জামাতের সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পুলওয়ামা হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হওয়া একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জামাতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
যদিও কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দল পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) জামাতের নিষিদ্ধ হওয়াকে ভাল ভাবে নেয়নি। তারা কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিল। পিডিপির প্রধান মেহবুব মুফতি বলেন, “মৌলবাদী হিন্দু গোষ্ঠীগুলি ভুল তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতিকে বিকৃত করে ফেলছে। অথচ কাশ্মীরিদের জন্য নিস্বার্থভাবে কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানকেই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।” ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাধারণ সম্পাদক আলি মোহাম্মদ সাগরও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন