বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে মোদি সরকার?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:১৪ পিএম

সময়মতো অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে জানালেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার লোকসভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। তবে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে স্বায়ত্বশাসন ফিরিয়ে দেয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে পরিস্কার করে কিছু বলেননি তিনি।

৩৭০ ধারা বিলোপ ও পূর্বতন জন্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয়া নিয়ে লোকসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে যেয়ে অমিত বলেন, ‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।’

রাজ্য ভাগ ও ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কী এমন উন্নতি হয়েছে ভারতের সীমান্ত রাজ্যের? বিরোধীদের এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ১৭ মাস হয়েছে রাজ্য বিভক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এত প্রশ্নের অর্থ কী? প্রশ্ন তো তাদের করা উচিত, যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কাশ্মীরে শাসনভার সামলেছেন। ৭০ বছরে কতটুকু উন্নতি হয়েছে? আমি কাশ্মীরের উন্নতির খতিয়ান দিতে দায়বদ্ধ। কিন্তু যারা প্রশ্ন তুলছেন, তারা নিজেদের একবার প্রশ্ন করে দেখতে পারেন, তা হলেই পাল্টা প্রশ্নের গ্রহণযোগ্যতা স্পষ্ট হবে।’

শনিবার লোকসভায় সংখ্যালঘু উন্নয়নের বিষয় থেকে আলোচনা পরিবর্তিত হয়ে চলে যায় কাশ্মীর বিষয়ে। কেরালার সাংসদ এমপি প্রেমচন্দ্র রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দাবি করেন। তিনি কাশ্মীরে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়েও দাবি করতে থাকেন। তার উত্তরেই অমিত শাহ প্রথমেই সমস্ত রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করেন, কাশ্মীরের ইস্যুকে রাজনৈতিক চেহারা না দিতে। পাশাপাশি তিনি আক্রমণ করেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারিকে। তিনি বলেন, ‘মণীশজি, আমি কাশ্মীরের সেই অশান্ত দিনগুলির কথা মনে করতে চাই না। যেখানে রোজ হত্যা, অশান্তি, কারফিউ লেগেই থাকত। এখন সেখানে শান্তি ফিরেছে। কাশ্মীরের শান্তি অনেক বড় বিষয়। আমাদের সরকারে সেই দিনগুলিকে আর ফিরিয়ে আনতে দেয়া হবে না।’

প্রসঙ্গত, ১৭ মাস আগে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা বিলোপের পাশাপাশি জন্মু ও কাশ্মীরকে দু’ভাগে বিভক্ত করে। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে জন্ম নেয় জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। কাশ্মীরের নেতা ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিরা ক্রমাগত কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের বিরোধিতা করতে থাকেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে কাশ্মীরি নেতার জন্য রাজ্যসভায় চোখের পানি ফেলেছেন, ভূস্বর্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সেই গুলাম নবি আজাদও সেই সময় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। সূত্র: এনডিটিভি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন