মা মারা গিয়েছেন ভোর সাড়ে তিনটেয়। সকালে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন। তারপরই মাতৃশোক সামলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন-সহ একাধিক প্রকল্পের সূচনা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। মায়ের মৃত্যুতেও যেভাবে কর্তব্যে অবিচল রইলেন প্রধানমন্ত্রী, তা দেখে তাকে ‘কর্মযোগী’ আখ্যা দিলেন বিজেপি সাংসদ ও নেতারা।
এদিন বাংলায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও জোকা-তারাতলা মেট্রোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ছিল অন্যান্য প্রকল্প। সব মিলিয়ে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তিনি। তবে সশরীরে উপস্থিত না থেকে পুরোটাই করেছেন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। মা’কে দাহ করে এসেই তার এই কর্তব্যপরায়ণতা নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন বিজেপির শীর্ষনেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, ”বিষাদগ্রস্ত অবস্থাতেও দেশই সবার আগে। এটাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তিনি পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত অনুষ্ঠানেই অংশ নিয়েছেন। মায়ের শেষকৃত্যের কিছু পরেই। একজন সত্যিকারের কর্মযোগী। আমাদের মতো অসংখ্য কর্মীরা তার এই দায়বদ্ধতা দেখে উজ্জীবিত।”
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং কেরলের এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, কেবল নিজেই যে সমস্ত কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, তা নয়। সমস্ত মন্ত্রীদের জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ যেন নিজেদের কাজ শেষ না করে দিল্লি না আসেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া থেকে গিরিরাজ সিংয়ের মতো মন্ত্রীরাও। সকলেই বলছেন, মোদি বুঝিয়ে দিলেন, তার কাছে দেশই সবচেয়ে আগে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোররাত ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে হীরাবেন মোদির। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ামাত্রই দিল্লি থেকে আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা হন মোদি। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছন। সকাল ১০ টা নাগাদ হীরাবেন মোদির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন