বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভোলায় ঐক্য পরিষদের কর্মসূচি স্থগিত

বাস-নৌযান চলাচল বন্ধ : দিনভর শহরে উত্তেজনা : আটক ৩

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভোলায় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ আহুত আজকের দুপুর ৩টায় ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোয়া ও মুনাজাত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে সকল ধরনের কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে ব্যাপক জনসমাগম ঠেকাতে ভোর থেকেই ভোলার সব কয়টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বরিশালের নৌ-রুটেও লঞ্চ, স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে ব্যাপক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভোলা-বরিশাল-ল²ীপুর নৌ-রুটেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ আহুত দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না ঘটে এ জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিকালে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়া হবে।

এদিকে আলোচনা এবং কর্মসূচি একত্রে চলতে পারে না উল্লেখ করে ভোলার সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাদের ৭২ ঘণ্টার কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। প্রশাসনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, তাদের দাবির সাথে রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটাকে ভিন্ন খাতে নিতে দেয়া হবে না। কেও নিতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে। তবে তিনি আরও জানান, তাদের দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে তারা পুনরায় আন্দোলনে যাবেন।

মাওলানা মিজানুর রহমান আরও জানান, পুলিশের গুলিতে যে ৪ জন নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্যই দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন আলোচনার কৌশল অবলম্বন করে কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। এতে জনগণের কাছে ভুল ম্যাসেজ যাচ্ছে। অথচ দোয়া আলোচনা হলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারত তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। জনগণের মনের ক্ষোভ প্রশমিত হত। তিনি বলেন, দোয়া অনুষ্ঠানে চরমোনাইর পীর সাহেব আসার কথা ছিল। সেখানে এটাকে বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভ আর বাড়ানো হচ্ছে। তবে দুঃখের সাথে বলতে হয় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মুসলিমদের দোয়া মাহফিলের মত কর্মসূচি না করতে দেয়া ও অনুমতি না দেয়া খুবই দুঃখজনক।

উল্লেখ্য, বোরহানউদ্দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশ্যে এই দোয়া অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গত সোমবার আহ্বান করেছিল ভোলার সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ। কিন্তু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে জেলা প্রশাসন বোরহানউদ্দিনের ঘটনার পর দিনই পরবর্তী নির্দেশ দেয়া না পর্যন্ত ভোলা জেলায় সকল প্রকার সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Yourchoice51 ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:২৬ এএম says : 0
ফেরাউনের চেয়ে কি আমাদের প্রশাসকরা নিজেদের বেশি ক্ষমতাধর মনে করেন? মিশরের পিরামিডে রক্ষিত মমির দিকে চেয়ে দেখুন। ফেরাউনের আস্ফালন আজ কোথায়? বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, মহান আল্লাহ তা'লার বিচার কাউকে ছাড়বে না।
Total Reply(0)
md masud rana ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৭ পিএম says : 0
Right News chi
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন