গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ঃ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, অনেকেই ক্ষমতায় আসেন ভোগ বিলাস করেন। দেশের মানুষকে শোষণ করেন। শাসন করেন। তারপর চলে যান। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না। শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করেন। তিনি দেশের ১৬ কোট মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করে মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ঘুম হারাম করে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। বিশ্বের বুকে একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ ও সম্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজনে গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী শেখ ফজলুল হক মনি সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধুরী এমদাদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
গোপালগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এএমএন মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন যথাক্রমে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এহিয়া খালেদ এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আল মামুন বিন সালেহ।
তিনি বলেন, প্রধামন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। আমরা ইতি মধ্যেই নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। ২০১৮ সালের মধ্যেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব। বিশ্ব মন্দার মধ্যেও আমাদের ডিজিপি ৬ এর উপরে। গ্রাম ভিত্তিক অর্থনীতিকে মজমুত করে প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা পরিপূর্ণতা অর্জন, মর্যাদা, সম্মান ও উন্নয়নে অন্তির্জাতিকভাবে অভ্যর্থনা পাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ দিয়ে গেছেন। তিনি দ্বিতীয় বিপ্লব অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ শুরু করার পর ঘাতকরা তাকে হত্যা করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমার শুধুর হত্যার বিচারই করছি না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফুটিয়ে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ছি।
মন্ত্রী বলেন, দেশে শিক্ষার হার ৪৭% থেকে ৭১% এ উন্নিত হয়েছে। আমারা বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা ভিজিডি, ভিজিএফ দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ সমুদ্র সীমা নির্ধারণে মায়ানমার ও ভারতের বিরুদ্ধে আর্ন্তাতিক আদালতে মামলা করে সমুদ্র জয় করেছেন। ইন্দ্রা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থল সীমানা নির্ধারণ করেছেন। তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন