শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে সীসাযুক্ত রঙ নিষিদ্ধে আইন প্রণয়ণ করুন

গোল টেবিল বৈঠকে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:২৭ পিএম

সীসাযুক্ত রঙ নিষিদ্ধ করা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার্থে আইন প্রণয়ণের জন্য সরকারের কাছে জোরদার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, সীসা একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিক্যান্ট। এটি বিশেষত শিশুদের জন্য বিপদজনক যা মস্তিষ্ক বিকাশে বাধাগ্রস্থ করে।
আজ ইন্টারন্যাশনাল লেড পয়জনিং প্রিভেনশন উইক ২০১৯ পালনের জন্য এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো এক গোল টেবিল বৈঠকে এদাবি জানান তারা। বৈঠকটি এসডোর প্রধান কার্যালয়ে গত রবিবার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে সম্প্রতি ডেকোরেটিভ রঙে সীসা ব্যবহারের আর্দশ মাত্রা ৯০ পিপিএম নির্ধারণ করা হয়েছে । মানুষ বিশেষত শিশুদের সীসার দূষণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই সীমা আন্তর্জাতিক ভাবে সর্বসম্মত। সীসাযুক্ত রঙের উৎপাদন, আমদানি বা বিক্রয় সম্পর্কিত এই আইন কমপক্ষে ৭৩টি দেশে রয়েছে। যদিও গবেষণায় উঠে এসেছে স্বল্প মধ্যম আয়ের দেশে বিক্রি হওয়া অনেক রঙে এখনও এই নির্ধারিত ৯০ পিপিএম এর থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশি পরিমাণে সীসার উপস্থিতি রয়েছে। এলিট রঙ বাংলাদেশের একমাত্র রঙ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান যারা ২০১৭ সালে এসসিএস গ্লোব্যাল র্সাভিস থেকে লেড সেইফ পেইন্ট সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
এসডোর চেয়ারপার্সন ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আবুল হাসেম, এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন, এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরাও এই গোল টেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, “শিশুরা খুব সহজে সীসা দূষণে আক্রান্ত হয়। ডেকোরেটিভ রঙে সীসা ব্যবহৃত হয় যা শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সরকারের সীসাযুক্ত রঙ নিষিদ্ধকরণের প্রবিধানের জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত কারণ এখনও সীসাযুক্ত রঙ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
অধ্যাপক ড. মো: আবুল হাসেম বলেন, সীসাদূষণের অন্যতম উৎস সীসাযুক্ত রঙ। এই দূষণে শিশু, গর্ভবতী মহিলারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। ঘন ঘন মুখে যে কোন কিছু দেওয়ার প্রবণতার কারণে শিশুরা খুব সহজেই সীসার ভয়াবহতায় আক্রান্ত হয়। শিশুরা ¯œায়ুতন্ত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় ৪-৫ গুণ বেশি সীসা শোষণ করে। সীসা দূষণ গর্ভবতী নারীদেহে বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করে।
এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেনের মতে আরও নিয়ন্ত্রণ এবং খুব শক্তিশালী প্রয়োগ এখনও প্রয়োজন, বিশেষত যখন আমরা বিবেচনা করি যে সীসা দূষিত রঙ আমাদের দেশে এত সাধারণ ভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এসডোর নির্বাহী পরিচালক, সিদ্দিকা সুলতানা উল্লেখ করেন যে, অন্য সকল ব্র্যান্ডগুলোতে কী পরিমান সীসা ব্যবহার হচ্ছে, গ্রাহকদের তা জানার উপায় নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন