দিনাজপুরে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিমানে রাষ্ট্রীয় সম্মান না নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে দাফনের ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা।
গতকাল রোববার সন্তানের প্রতি প্রশাসনের চরম অবিচারের প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয় সম্মান না নেয়া মৃত. মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের কুলখানী ও দোয়া অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এ সময় জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. সাইদুর রহমান জানান, সাংগাঠনিকভাবে দিনাজপুর সদরের এসিল্যান্ডকে (সহকারী কমিশনার ভূমি) অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলমের অপসারণ দাবী করেছেন। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সামনের সড়কে মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। এখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ডেপুটি কমান্ডার বলেন, জেলা প্রশাসক বর্তমানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন অথচ তিনিই মুক্তিযোদ্ধার সাথে যে আচরণ করেছেন তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাগণ জীবন বাজি রেখে একাত্তরে রনাঙ্গণে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন বলেই আজ দেশ স্বাধীন হয়ে অনেকে ডিসি, এডিসি ও এসিল্যান্ড হয়েছেন। আর তাদেরই দ্বারা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান অন্যায় ও ভিত্তিহীন অভিযোগে চাকুরীচ্যুত ও বাস্তুচ্যুত হবেন এটা মেনে নেয়া যায় না।
সরকার যখন মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানা মুখী কর্মসূচী সফল করছেন তখন প্রশাসনের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী আচরণের ন্যায়সঙ্গত বিচার করতে হবে।
কুলখানিতে আসা অনেকেই এসি ল্যান্ড ও ডিসির আচরণ ও ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন। অনেকের কাছে অর্থের বিনিময়ে খাস জমি বরাদ্দের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের মতে তদন্ত হলে আরো অনেক দুর্নীতির চিত্র পাওয়া যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন