শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ভারতীয় জুয়াড়িরা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য হুমকি?

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৩৬ এএম

২০০০ সালে দিল্লি পুলিশের কাছে আসে একটি টেপ রেকর্ডার। সেটি থেকে উদ্ধার হয় দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে এবং ভারতীয় জুয়াড়ি সঞ্জয় চাওলার মধ্যে গোপন কথাবার্তা।

সেই তদন্তের সূত্র ধরে ক্রোনিয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ পরে প্রমাণিত হয়। তিনি নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অপরাধ স্বীকার করে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হন।

সঞ্জয় ছিলেন লন্ডন প্রবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেট বুকি। ভারতে তার সহযোগী বাজিকর ছিলেন রাজেশ কালরা। দুজনে মিলে ক্রোনিয়ে ও প্রোটিয়া দলের কিছু ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ে টেনে আনেন।

এর কিছু দিন পরই ফেঁসে যান তখনকার ভারতীয় ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। তাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

একই কারণে অজয় জাদেজা, মনোজ প্রভাকর, নয়ন মোঙ্গিয়াসহ আরও কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারের ওপর শাস্তি নেমে আসে। আজহারউদ্দিনসহ এসব তারকাকে বেটিং জগতের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনে নাটের গুরু ছিলেন মুকেশ গুপ্তা নামে এক বুকি।

দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা মুকেশ 'জন' বা 'এমকে' নামেও পরিচিত। পারিবারিকভাবে স্বর্ণালঙ্কারের ব্যবসা ছিল তার। তবে ক্রিকেট জুয়া মারফত বিপুল অর্থসম্পত্তির মালিক হন তিনি।

দিল্লি-মুম্বাই-লন্ডনের ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেট বুকিরাই বিশ্ব ক্রিকেটে বড় বড় তারকাদের বারবার বিপদে ফেলেছেন। সেই তালিকায় সবশেষ সংযোজন হলেন দীপক আগারওয়াল।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) প্রধান অজিত সিং শেখাওয়াত বলেন, এ ভারতীয় জুয়াড়িরা বিশ্ব ক্রিকেটকে কলুষিত করছে কিনা, সেটি আইসিসিই ভালো বলতে পারবে। তবে হ্যাঁ, আমাদের জন্যও এ বুকিরা বিরাট মাথাব্যথা। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ওদের ওপর সবসময় আমাদের নজর রাখতে হয়, অ্যালার্ট থাকতে হয়।

আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কর্মকর্তারা 'সতর্ক' ছিলেন বলেই সাকিব আল হাসানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেমে এসেছে। এতেও কোনো সন্দেহ নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন