অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, “বিড়ির উপর অতিরিক্ত কর মানে গরিবের উপর জুলুম করা। একই দেশে বিড়ি ও সিগারেটের উপর দুই রকম নীতি থাকতে পারে না। আশা করি অর্থমন্ত্রী জাতীয় বাজেটে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন গণমানুষের মুক্তি। এজন্য বৈষম্যমূলক অবস্থার থেকে বেরিয়ে এসে বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা দরকার। গতকাল ‘বিড়ি-শ্রমিকের জীবন সংগ্রাম : রাজস্বনীতি ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওই সেমিনারে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি)-এর চেয়ারপার্সন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল। মন্ত্রী আরো বলেন, বাজেটে যদি বৈষম্যমূলক করনীতি থাকে তাহলে সেটা দুঃখজনক। কারণ সাধারণ মানুষই বিড়ি খায়। এই বৈষম্য সমর্থনযোগ্য নয়।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি)’র সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ-ফেরদৌসী। সভাপ্রধান মেজবাহ কামাল বলেন, ধূমপান অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু করের বৈষম্য থাকবে সেটা তো হতে পারে না। বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তারা কোথায় দাঁড়াবে। রাষ্ট্রের তো এদের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, এদের পুনর্বাসন বা বিকল্প কর্মস্থানের জন্য বাজেটে প্রয়োজনে বরাদ্দ রাখতে হবে। অথবা এই পেশা থেকে কীভাবে মানুষগুলো বেরিয়ে আসবে তার জন্য ৫ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিড়ি-শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম কে বাঙালি, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, কারিগরি বিড়ি-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রণব দেবনাথ, প্রচার সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম। বৈঠকে বক্তারা বলেন, দেশে প্রায় ২ শতাংশ মানুষ বিড়ি পান করে। বিড়ি শ্রমিকদের দৈনিক গড় মজুরি প্রায় ৫৫ টাকা। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৬ দিনের পরিবর্তে ২ দিন কাজ হয়। যার ফলে শ্রমিকদের মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। গোল টেবিলে অংশ নেয়া বিভিন্ন জেলার বিড়ি শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধিসহ বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি তোলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন