বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

চিঠি : বর্ণনার অমূল্য কীর্র্তি

রকি মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
একবার এক প্রেমিক তার প্রেমিকার কাছে চিঠি লিখতে গিয়ে আস্ত একটি গীতিকবিতা লিখে ফেল্লেন। চিঠি লেখার কারণ
এখানে প্রেমিকার অভিমান। চিঠিটা এরকম:-
প্রিয় সাথী,
যখোন তোমার ভুল ভাঙ্গবে ফিরে এসো
যখোন আমাকে মনে পড়বে ফিরে এসো॥
বিরহের যন্ত্রণা মুছে দিতে,
এসো হৃদয় দিয়ে এই হৃদয় ছুঁতে
যখোন ফাগুন বেলা প্রেমের শিহরণ জাগবে
ফিরে এসো॥
জীবন মরণের সঙ্গী হতে,
এসো ঝরণা হয়ে এই সাগর বুকে
যখোন সাঁঝের বেলা পাখীরা প্রেমালাপ করবে
ফিরে এসো॥
-তুহিন
কত বিষয় বৈচিত্র্যে যে চিঠি লেখা হয়েছে তা ভেবে বিস্মিত হতে হয়। বাংলাদেশের একজন গবেষক মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম গবেষণা করছিলেন “অক্ষয়কুমার দত্ত” কে (১৮২০-১৮৮৬) নিয়ে। বাধ্য হয়েই তিনি অক্ষয় দত্তের চেনাজানা কাউকে খুঁজছিলেন, পেয়েও গেলেন শিবনারায়ণ রায় কে। চিঠির জবাবে শিবনারায়ণ রায় যা লিখলেন:
“৬/৩/০৪
কল্যাণীয়েষু, অম্লান দত্তের কাছে শুনলাম তুমি অক্ষয় দত্ত বিষয়ে গবেষণায় আগ্রহী। এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারলে খুশী হতাম, কিন্তু আমি বর্তমানে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের জীবনী রচনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যাপৃত। এই গবেষণার ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা তোমার সহায়ক হতে পারেন তাঁরা হচ্ছেন: ১.ডক্টর সাধনা মজুমদার,শান্তিনিকেতন। ২.ডক্টর ভবতোষ দত্ত, শান্তিনিকেতন। ৩.অধ্যাপক অলোক রায়, কলকাতা। ... ... ... এঁদের মধ্যে সাধনা মজুমদার বিশেষ যতœ নিয়ে অক্ষয় দত্তের উপর গবেষণা করেছেন। তিনিই তোমাকে সব চাইতে সাহায্য করতে পারবেন।... ... ... । অক্ষয় দত্তের লেখার জন্য তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা পাঠ অবশ্য জরুরি। বাংলা একাডেমীতে কি পাওয়া যায়? সাহিত্য পরিষদ গ্রন্থাগারে আছে।... ... বিশ্বসাহিত্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক দিন যোগাযোগ নেই। কাজকর্ম কেমন চলছে।
শিবনারায়ণ রায়।”
এই চিঠি একজন গবেষকের জন্য অন্য একজন গবেষকের সু-পরামর্শেরই চিত্রনাট্য বলে মনে হয়। নিজের অপারগতা প্রকাশের সঙ্গে কোথায় সহায়তা পাবেন তার একটি তালিকা প্রদান করেছেন।
এক একটি চিঠি হতে পারে এক একটি কালজয়ী উপন্যাস কিম্বা মর্মস্পর্শী কবিতা। প্রাণের আবেগ, হৃদয়ের উষ্ণতাপূর্ণ কথকথা কি থাকেনা একটি চিঠিতে? থাকতে পারে আকুতি সবিনয় নিবেদন। মহাকবি মধুসূদন দত্তের শ্রদ্ধাভাজন বন্ধু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (জন্ম:-১৮২০ খ্রি:-মৃত্যু:-১৮৯১ খ্রি:) সমাজে বহুবিবাহ রোধের পাশাপাশি বিধবাবিবাহ প্রচলণসহ বিবিধ সংষ্কারের পুরোধা তিনি, ভাষা সংস্কারে তাঁর ভূমিকা অগ্রগণ্য। ঈশ্বরচন্দ্রকে মধুসূদন চিঠি লিখলেন:
ফ্রান্স, ভার্সাই
১২, রু দ্য শ্যাঁতিয়ারস
২ জুন, ১৮৬৪ (চলবে)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন