সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সখিপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিঘাতে মা,বাবা,ভাই আহত

গুরুতর আহত বাবা ও ভাইকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৩৮ পিএম

টাঙ্গাইলের সখিপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ছেলের ছুরির আঘাতে মা রাশেদা বেগম (৫৫), বাবা আবদুল হাকিম (৬০) ও আপন ছোটভাই আবু তাহের (২৫) গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে সখিপুর উপজেলার মহানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিনজনকেই বেলা ১১টার দিকে প্রথমে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে গুরুতর আহত বাবা আবাদুল হাকিম ও ভাই আবু তাহেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে ছুরি দিয়ে আঘাতকারী রাশিদুল ইসলামকে (৩৫) প্রতিবেশীরা মারধর করে বাড়িতে বেধে রেখেছে। এলাকাবাসী জানায়, রাশিদুল দুটি বিয়ে করলেও একটিও টেকেনি। সে একটি গাভি লালন পালন করে সংসার চালায়। রোববার সকালে সে তাঁর মাকে ওই গাভি দোয়াতে (দুধ সংগ্রহ করা) বলে। মা ওই গাভি দোয়াতে গেলে লাফালাফি করার কারণে তিনি দোয়াতে পারেনি। সকাল ১০টার দিকে রাশিদুল জানতে পারে তাঁর গাভিটি দোয়ানো হয়নি। এ কারণে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে মারধর করে। মাকে মারধরের খবর পেয়ে ছোটভাই আবু তাহের এগিয়ে এলে রাশিদুল ছুরি দিয়ে ছোটভাইয়ের বুকের মধ্যে আঘাত করে। এরপর বাবা আবদুল হাকিম এগিয়ে এলে তাঁকেও ছুরি দিয়ে বুকে ও হাতে আঘাত করে। এরপর রাশিদুলের ছুরির আঘাতে তাঁর মায়ের বাহু ও একটি আঙুলে ক্ষত হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আহত তিনজনকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা বেগতিক দেখে গুরুতর আহত আবু তাহের ও আবদুল হাকিমকে সখিপুর হাসপাতারে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত আবু তাহেরের বুকের বাঁ পাশে ছুরির মারাত্মক আঘাত রয়েছে। এছাড়াও বাবা আবদুল হাকিমের বাঁ পাশের বুকে ও বাঁ হাতে আঘাত লেগেছে। মা রাশেদা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাশিদুলের চাচাতো ভাই বছির উদ্দিন বলেন, রাশিদুলের মাথায় একটু সমস্যা আছে। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে তা কখনো কেউ আশা করেনি। রাশিদুলকে প্রতিবেশীরা মারধর করে বাড়িতেই বেধে রেখেছে। সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আমির হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ জানায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন