শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আশা দেখিয়েও বাংলাদেশের হার

ইতিহাস গড়া হল না টাইগারদের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:২৫ পিএম | আপডেট : ১:০২ এএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৯

বিশাল সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। ভারতকে তাদের মাঠে সিরিজ হারিয়ে ইতিহাস গড়তে পারত টাইগাররা। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সে ইতিহাস গড়া হলো না মাহমুদউল্লাহদের। টানা দুই জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করল স্বাগতিক ভারত। তারা বাংলাদেশকে হারাল ৩০ রানে। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ রোহিতবাহিনীদের। 

রান তাড়ায় শুরুতেই লিটন-সৌম্যকে হারিয়ে হোঁচট। এরপর নাঈম ও মিঠুনের প্রতিরোধে জয় মনে হচ্ছিল হাতের নাগালে। কিন্তু মিঠুনের বিদায়ে ৯৮ রানের জুটি ভাঙার পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেনি। মূলত এক দীপক চাহারের কাছেই ম্যাচে হেরে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে স্বাদ পেলেন টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিকের। গড়লেন টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের বিশ্ব রেকর্ড।আগের ওভারের শেষ বলে শফিউলকে নিয়ে চাহারের হ্যাটট্রিকের শুরু। শেষ ওভারের প্রথম বলে ফেরালেন মুস্তাফিজকে। এরপর হ্যাটট্রিক শিকার আমিনুল। টি-টোয়েন্টিতে এটি দ্বাদশ হ্যাটট্রিক। কোনো ভারতীয় বোলারের প্রথম।

৩.২ ওভারে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে চাহার পেছনে ফেললেন অজন্তা মেন্ডিসের রেকর্ড। ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মেন্ডিস। ভারতের হয়ে আগের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল চেহেলের, ২৫ রানে ৬ উইকেট।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ ( রোহিত ২, ধাওয়ান ১৯, রাহুল ৫২, শ্রেয়াস ৬২, পান্ত ৬, মনিশ ২২*, দুবে ৯*; আল আমিন ৪-০-২২-১, শফিউল ৪-১-৩২-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৪২-০, আমিনুল ৩-০-২৯-০, সৌম্য ৪-০-২৯-২, আফিফ ১-০-২০-০)।

বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৪৪ (লিটন ৯, নাঈম ৮১, সৌম্য ০, মিঠুন ২৭, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৮, আফিফ ০, আমিনুল ৯, শফিউল ৪, মুস্তাফিজ ১, আল আমিন ০*; খলিল ৪-০-২৭-০, সুন্দর ৪-০-৩৪-০, চাহার ৩.২-০-৭-৬, চেহেল ৪-০-৪৩-১, দুবে ৪-০-৩০-৩)

ফল: ভারত ৩০ রানে জয়ী

সিরিজ: ভারত ২-১ ব্যবধানে জয়ী

একই ওভারে নাঈম-আফিফের বিদায়

ভারতীয় পেসার দুবের ইয়র্কার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন নাঈম। তিনি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে গেল ৮১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। একই ওভারের পরের বলে আফিফও তার উইকেট দিয়ে আসেন দুবেকে। বোলার নিজেই ক্যাচ ধরেছেন। 

স্কোর : ১৬ ওভারে ১২৬/৬

মিঠুন-মুশফিকের বিদায়, বিপদে বাংলাদেশ
তৃতীয় উইকেট জুটির শতরানের মুখে বিদায় নিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ভারতকে আবারও উইকেট এনে দিলেন দিপক চাহার। নিজের প্রথম ওভারেই ২ উইকেট নিয়েছিলেন চাহার। এরপর বাংলাদেশ গড়েছে বড় জুটি। সেই জুটি ভাঙতে মরিয়া ভারত অধিনায়ক ফিরিয়ে আনলেন চাহারকে। তার স্লোয়ার ডেলিভারি উড়িয়ে মেরে লং অফে ক্যাচ দিলেন মিঠুন। ২৯ বলে ২৭ রানে ফিরলেন মিঠুন। ভাঙল নাঈমের সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি। প্রথম ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিমের জন্য মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। কিন্তু অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেন নিজের প্রথম বলেই।
বাংলাদেশ ১৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে উইকেটে ১১৬ রান।

নাঈম-মিঠুনের ব্যাটে টাইগারদের লড়াই
শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ম্যাচে ভালোভাবেই টিকে আছে বাংলাদেশ। নাঈম ও মিঠুনের জুটিতে ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৯১। নাঈম ৫৭ রানে অপরাজিত আছেন। মিঠুন খেলছেন ২৪ রানে। শুরুর অস্বস্তি কাটিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে ফেললেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। দেখালেন নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্যের বিজ্ঞাপন। তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচেই প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন ২০ বছর বয়সী ওপেনার।

লিটন-সৌম্যর বিদায়, বিপদে বাংলাদেশ
প্রথম ওভারে দারুণ দুটি শটে চার মেরেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আরও একবার জেগে ওঠা পূর্ণতা পেল না তার ব্যাটে। ফিরে গেলেন দুই অঙ্ক না ছুঁয়েই। দীপক চাহারের শর্ট অব লেংথ বলটিতে পুল করেছিলেন লিটন। ধারাভাষ্যকক্ষে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বললেন, দারুণ শট। কিন্তু মারে জোর ছিল না যথেষ্ট। বল গেল সোজা সীমানায় ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে। পরের বলেই সৌম্য এসেই ফিরে যান। এই দুই উইকেট পতনে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। 
স্কোর : ৪ ওভারে ১৪/২। নাঈম ৫ রানে ও মিঠুন ০ রানে অপরাজিত আছেন।

জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৭৫

কম রানের পিচেও বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ভারত। শুরু থেকে চাপে থেকেও সফরকারিদের বাজে ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসের মহড়ায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলেছে ভারত। শ্রেয়াস ৬২ ও রাহুল ৫২ রান তোলেন। শেষের দিকে মানিষ পান্ডের ঝড়ো ২২ রানের ইনিংস বিশাল সংগ্রহের দিকে নিয়েূ যায় স্বাগতিকদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ ( রোহিত ২, ধাওয়ান ১৯, রাহুল ৫২, শ্রেয়াস ৬২, পান্ত ৬, মনিশ ২২*, দুবে ৯*; আল আমিন ৪-০-২২-১, শফিউল ৪-১-৩২-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৪২-০, আমিনুল ৩-০-২৯-০, সৌম্য ৪-০-২৯-২, আফিফ ১-০-২০-০)।

সৌম্যর জোড়া আঘাত

১৭তম ওভারের প্রথম বলে পান্তকে (৬) ফেরানোর পর পঞ্চম বলে বিধ্বংসী শ্রেয়াসকেও (৬২) ফিরিয়ে দিলেন সৌম্য। পান্ডে ১ ও দুবে ০ রানে অপরাজিত আছেন।

স্কোর : ১৭ ওভারে ১৪৪/৫

শ্রেয়াসের ফিফটি, ব্যাকফুটে বাংলাদেশ
আফিফ হোসেনের বলে টানা তিন বলে ছক্কায় ৩১ থেকে ৪৯। এরপর একটি ডট বল। পরের বলে একটি রান নিয়ে শ্রেয়াস পেলেন ফিফটির স্বাদ। ১১ টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম ফিফটি। ৫ ছক্কায় ২৭ বলে স্পর্শ করেছেন পঞ্চাশ। আফিফেরর প্রথম ওভারের প্রথম তিন বলই বিশাল তিন ছক্কায় ওড়ালেন শ্রেয়াস। সব মিলিয়ে সেই ওভার থেকে এলো ২০ রান। ১৫ ওভার শেষে ভারতের রান ৩ উইকেটে ১২৯। শূন্য রানে জীবন পেয়ে শ্রেয়াস খেলছেন ২৭ বলে ৫০ রান নিয়ে।

ভয়ঙ্কর রাহুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন আল আমিন
শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলতে থাকা রাহুল হয়ে উঠছিলেন অপ্রতিরোধ্য। হঠাত বোলিংয়ে পরিবর্তন আনলেরন মাহমুদউল্লাহ। আল আমিনকে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনতেই প্রথম বলে তুলে নেন ৫২ রান করা রাহুলকে।
১৩ ওভারে সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৭ রান। আইয়ার ২১ ও পান্ত ২ রানে অপরাজিত আছেন।

শফিউলের দ্বিতীয় শিকার ধাওয়ান

পাওয়ার প্লের শেষ ওভার ও ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে ভারতীয় আরেক ওপেনার শেখর ধাওয়ানকেও ফিরিয়ে দিলেন শফিউল। ১৯ রা করে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে সুযোগ ছিলো রাহুলকে ফেরানোরও। কিন্তু স্কয়ার লেগে ক্যাচ মিসের কারণে বেঁচে যান তিনি। 

৬ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪১ রান। রাহুল ১৮ ও আইয়ার খেলছেন ১ রান েনিয়ে।

শুরুতেই রোহিতকে ফেরালেন শফিউল

ঠিক যেন দিল্লির পুণরাবৃত্তি। নিজের ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই রোহিতকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন শফিউল। ৬ বলে মাত্র ২ রানেই ফেরেন ভারতীয অধিনায়ক। 

২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩ রান। ধাওয়ান ১ রানে ও রাহুল ০ রানে খেলছেন।

টসে জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এই মাঠে আগে ব্যাট করা দলের জয়ের হার অনেক বেশি। শুষ্ক উইকেটে পরে ব্যাট করা কঠিন হতে পারে বলেও মনে করছেন ধারাভাষ্যকাররা। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর যুক্তি, ‘ভারত রান তাড়ায় ভালো। তাদেরকে যত কমে সম্ভব আটকে রেখে রান তাড়া করতে চাই আমরা।ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানালেন, টস জিতলে তাদের পরিকল্পনাও ছিল আগে বোলিং করা।
মোসাদ্দেকের বদলে মিঠুন
আগের দুই ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, মোসাদ্দেক হোসেন খেলতে পারছেন না চোটের কারণে। তার জায়গায় একাদশে এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

পান্ডিয়ার জায়গায় পান্ডে
স্পিনিং অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়ার জায়গায় আনা হয়েছে ব্যাটসম্যান মনিশ পান্ডেকে। ফলে অলরাউন্ডার শিবম দুবে ও প্রয়োজনে অধিনায়ক রোহিত মিলে চালিয়ে নিতে হবে পঞ্চম বোলারের কাজ।

বাংলাদেশের একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন, আমিনুল ইসলাম এবং শফিউল ইসলাম।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, ঋশভ পন্ত, শিভাম দুবে, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চাহাল, দীপক চাহার এবং খলিল আহমেদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন