জিহ্বার অগ্রভাগ যদি লাল হয় তবে তা মানবদেহের হৃদযন্ত্রে তাপ সৃষ্টির নির্দেশনা দিয়ে থাকে। কারণ, হৃদযন্ত্রের অবস্থার সঙ্গে জিহ্বার অগ্রভাগের সম্পর্ক রয়েছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে মুখের আলসারের কারণে জিহ্বার অগ্রভাগ লাল হয়েছে কিনা। জিহ্বার অগ্রভাগের ঠিক পিছনের অংশের সাথে ফুসফুসের যোগসূত্র রয়েছে। জিহ্বার পাশের অংশ দেখে লিভার বা যকৃতের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। জিহ্বার মধ্যবর্তী অংশ পাকস্থলী, প্লীহা বা হজমের সাথে সংশ্লিষ্ট। জিহ্বার পিছনের অংশ কিডনির অবস্থা সম্পর্কে একটি নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়া অসুখ-বিসুখ যেমন-ঠান্ডা এবং হজমজণিত সমস্যা সম্পর্কেও নির্দেশনা প্রদান করে।
জিহ্বার অগ্রভাগ যদি চোখা হয় তবে তা একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্যগত দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান দিয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, জিহ্বার অগ্রভাগ যদি চোখা হয় তাহলে ধারণা করা যায় যে ঐ ব্যক্তি মানসিকভাবে আগ্রাসী অথবা আক্রমণাত্মক হতে পারে। তার মানে এই নয় যে, জিহ্বার অগ্রভাগ চোখা হলে কেউ আগ্রাসী বা আক্রমণাত্মক মনোভাব সম্পন্ন হবেই। জিহ্বার অগ্রভাগ বিভক্ত থাকলে বুঝতে হবে ঐ ব্যক্তির শারীরিক বা মানসিক ভারসাম্য কম থাকলেও থাকতে পারে। এছাড়া চিন্তা ও চেতনা খুব দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। জিহ্বার অগ্রভাগ যদি গোলাকৃতির হয় তবে তা মানসিক এবং শারীরিক দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান দেয়।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে কেউ যেন কারো জিহ্বা দেখার চেষ্টা না করেন। কারণ, এসব ক্ষেত্রে জিহ্বা দেখতে হলে বিশেষ কিছু পদ্ধতি এবং কৌশল অবলম্বন করতে হয়, যা এই বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন ডাক্তারের পক্ষেই সম্ভব। তবে খোলা চোখে জিহ্বার অস্বাভাবিক কিছু দেখলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন