রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আশা দেখিয়ে লিটনের বিদায়

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:২৭ পিএম

দৃষ্টিনন্দন সব শট, আশা জাগিয়ে তোলা, আবার নিজের ব্যাটেই সেই আশা খুন করা, লিটন দাসের ইনিংসের সেই নিয়মিত চিত্র দেখা গেল আরেকবার। ভালো খেলতে খেলতেই বিলিয়ে এলেন উইকেট। উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই দারুণ খেলছিলেন লিটন। মেরেছেন চোখধাঁধানো কয়েকটি বাউন্ডারি। কিন্তু আবারও ব্যর্থ ইনিংস বড় করতে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন। বুঝতে পেরে অশ্বিন বল পিচ করিয়েছিলেন একটু টেনে। লিটন তাই পারলেন না বলের পিচ পর্যন্ত যেতে। তবু চাইলেন উড়িয়ে খেলতে, কিন্তু অশ্বিনকেও পার করতে পারলেন না। বেশ গতিতে ছুটে আসা বল ফিরতি ক্যাচে পরিণত করলেন অশ্বিন। ৬ চারে ৩৯ বলে ৩৫ করে ফিরলেন লিটন। ভাঙল ৬৩ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৩৫।

দলকে বিপদে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতীয় পেসারদের দাপটে ধুঁকছে বাংলাদেশ। প্রথম চার ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন দলের রান যখন ৪৪! দলীয় ১০ রানে ওপেনার ইমরুল কায়েস ৬ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ইমরুলের ফেরাটা যেন মেনে নিতে পারলেন না আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। তাঁর পরপরই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান এই ওপেনারও। 
এরপর অধিনায়ক মমিনুল হককে ৭ রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ শামি। দলীয় ৪৪ রানে বাংলাদেশ শিবিরে আবারো আঘাত হানেন শামি। মোহাম্মদ মিঠুনকে ১৮ রানে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের তালুবন্দি করান এই পেসার।
এরপর মুশফিকুর রহীমকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে তাকেও ব্যর্থ হয়ে ফেরত যেতে হয়। এবারও আঘাত হানেন শামি। ১৫ রানে রিয়াদকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন এই ভারতীয় পেসার।
এই রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০৯ রান। উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহীম (২১) এবং লিটন (২৫)।

৪৪ রানেই নেই ৪ উইকেট

রিভিউ নিয়ে মিঠুনকে ভারত ফেরাতে না পারলেও সেই আক্ষেপ দীর্ঘায়িত হলো না বেশি। মিঠুন নিজেই দিয়ে এলেন উইকেট। শামির শর্ট বলটি স্কিড করে ব্যাটসম্যানের কাছে যায় আরও দ্রুততায়। মিঠুন চাইলেন পুল করতে, কিন্তু শট খেলতে দেরি করলেন অনেক। টাইমিং হলো না মোটেও। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ। দলের বিপদের সময় এরকম শট খেলা হয়তো অপরাধের পর্যায়েই পড়ে! ২৬ বলে ১৮ রান করে বিদায় নিলেন মিঠুন। বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪৪। মুশফিকের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

পারলেন না মুমিনুলও
দলকে উদ্ধার করতে পারলেন না মুমিনুল হকও। অভিষিক্ত অধিনায়ক ফিরলেন দলকে আরও বিপদে ঠেলে। রিভিউ নিয়ে জিতল ভারত। মোহাম্মদ শামি উইকেটের দেখা পেলেন প্রথম ওভারেই। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকে শামির বলটি। মুমিনুল খেলেছিলেন শাফল করে। চেষ্টা করেছিলেন ফ্লিকের মতো করতে। ব্যাটে-বলে হয়নি। বল লাগে প্যাডে, লেগ স্টাম্প তখন দেখা যাচ্ছিল স্পষ্ট। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার রড টাকার। ভারত নেয় রিভিউ। দেখা যায়, বল লাগছিল লেগ স্টাম্পে।
৭ রানে ফিরলেন মুমিনুল। বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৩৭।

আবারও ব্যর্থ ইমরুল-সাদমান
রানের পাহাড় বাংলাদেশের সামনে- হয়ত তৃতীয় দিনে খেলা শেষ হয়ে যেতে যাবে! যদি চতুর্থ দিনে খেলে নিতে হয় তবে টিকে থাকার বিকল্প কিছু নেই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সামনে। কিন্তু তা তো করতে রাজি নন টাইগার ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। দুজনই সোজা বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন। দুজনের মধ্যে মিলটাও একটু বেশিই। প্রথম ইনিংসে ইমরুল-সাদমান মাত্র ৬ রানে আউট হয়েছিলেন। আর নিজেদের দ্বিতীয় তথা তৃতীয় দিনেও একই রানে প্যাভিলিয়নের গেলেন এই দুই বাংলাদেশের টেস্ট ওপেনার। ইমরুল বোল্ড হলেন উমেশ যাদবের বলে আর সাদমানকে আউট করলেন ইশান্ত শর্মা। 
এই রিপোর্ট লেখা অবধি টাইগারদের সংগ্রহ ২ উইকেট না হারিয়ে ১৮ রান। উইকেটে আছেন মুমিনুল হক (৬) এবং মোহাম্মাদ মিঠুন (০)।

ভারতের ইনিংস ঘোষণা

তৃতীয় দিনে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি ভারত। আগের দিনের ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৫০
ভারত ১ম ইনিংস: ১১৪ ওভারে ৪৯৩/৬ (মায়াঙ্ক ২৪৩, রোহিত ৬, পুজারা ৫৪, কোহলি ০, রাহানে ৮৬, জাদেজা ৬০*, ঋদ্ধিমান ১২, উমেশ ২৫*; ইবাদত ৩১-৫-১১৫-১, আবু জায়েদ ২৫-৩-১০৮-৪, তাইজুল ২৮-৪-১২০-০, মিরাজ ২৭-০-১২৫-১, মাহমুদউল্লাহ ৩-০-২৪-০)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন