জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চলমান ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের খেলায় খুলনার আবু নাসের স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগ। ঢাকার হয়ে মাঠে খেলছিলেন শাহাদাত হোসেন ও তার সতীর্থ স্পিনার আরাফাত। খেলার এক পর্যায়ে আরাফাতকে বলের এক পাশ ঘষে দিতে বলেন শাহাদাত। আরাফাত সঠিকভাবে ঘষে দিতে পারবেন না বলায় রেগে যান শাহাদাত। খেলা চলা অবস্থায় মাঠেই শাহাদাত আরাফাতকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এমনকি তাকে লাথিও মেরেছেন অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ম্যাচ রেফারি সাবেক ক্রিকেটার শিপার। বোর্ডের কাছে তিনি রিপোর্টও পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। শাহাদাতের নিষেধাজ্ঞা কমপক্ষে এক বছরের জন্য হতে পারে, মনে করছেন ম্যাচ রেফারি।
শিপার বলেন, ‘আমি আমার যা লেখার ও বলার বোর্ডে বলে দিয়েছি। শাহাদাত যা ঘটিয়েছে, সেটা নিয়ে আমার মানে ম্যাচ রেফারির শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার নেই। এটা লেভেল ‘ফোর’ এর আওতায়। এ শাস্তি অনেক কঠিন ও বড়। এটা তেড়ে যাওয়া, বাজে অঙ্গভঙ্গি বা গালি দেওয়ার মতো ছোটখাটো ঘটনা নয়। সরাসরি গায়ে হাত তোলা। এর শাস্তি কঠিন। আইনে ন্যূনতম ১ বছর সাসপেন্ড। এখন এটা বিসিবিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাক্ষ্য প্রমাণ ও যাচাই বাছাইয়ের পর বোর্ডই ঠিক করবে কী শাস্তি দেবে’।
যেহেতু ম্যাচ রেফারি বলেই দিয়েছেন শাস্তি কমপক্ষে এক বছর হওয়ার সম্ভাবনা। তাই এক বছর ধরেই নেওয়া যায়। তবে রাজিবের বিষয়ে আগেও অভিযোগ ছিল, সেদিক বিবেচনায় আরও হার্ডলাইনে যেতে পারে বিসিবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন