শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষাসহ যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত -সেনাপ্রধান

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:৩৯ পিএম

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষা ও যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক অনেক সমরাস্ত্র। সেনা সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য চলছে নানা মুখী প্রশিক্ষণ।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রামু সেনানিবাসে রেজিমেন্টাল কালার প্যারেড উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমদ একথা বলেন।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ বলেন, মিয়ানমার আমাদের একটি প্রতিবেশী দেশ। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করা সামাজিক এবং সার্বিকভাবে কল্যাণকর। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আগামী মাসে তার মিয়ানমার সফরের কর্মসূচি রয়েছে বলে জানিয়ে সেনা প্রদান বলেন, সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কথা হতে পারে। এক প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন তিনি বিজিবি প্রধান থাকাকালীন সময়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা বহাল রয়েছে এবং সেটা খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। তবে এটি রাতারাতি শেষ করা সম্ভব নয়। প্রাথমিকভাবে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দশম পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যদের তত্ত্বাবধানে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সকাল দশটায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ রামু ক্যান্টনমেন্ট এর প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে দশম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মোঃ মাইন উল্লাহ চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান।

অনুষ্ঠানে রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্ত ইউনিট সমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে সেনা প্রধান বলেন, ৬, ৯ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন এবং ১৩ ও ১৪ বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট সমূহ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই ধারাবাহিকভাবে প্রশংসনীয় কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে কালার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যেকোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের এবং এটি একটি পবিত্র আমানতও। তিনি আশা প্রকাশ করেন কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম এবং কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ
রেজিমেন্টাল কালার এর মর্যাদা এবং সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা অটুট রাখার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহ সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধানগন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং অসামরিক প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে সেনাপ্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রদান উপলক্ষে সুশৃংখল মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন