শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ওসি মোয়াজ্জেমের রায়ে খুশি নুসরাতের পরিবার

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:৩৬ পিএম

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন দু’টি ধারায় মোয়াজ্জেমকে মোট আট বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দু’টি ধারায় আরও ছয়মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ওসির বিরুদ্ধে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক ছাত্রী ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আখতার।
তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আদালাত বিচার বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে রায় দিয়েছেন, আমি আদালতে ওসির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলাম।
নুসরাতের মা বলেন, এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, আর কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কোনো মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করার সাহস পাবেন না। কোনো হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার সাহস আর কোনো পুলিশ কর্মকর্তা পাবেন না। এ রায়ের মাধ্যমে নুসরাতের বিদেহী আত্মাও শান্তি পাবে বলেও জানান নুসরাতের মা।
নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হয়নি। নুসরাতের ভাই নোমান এমন রায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিচার বিভাগের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানায়।
অপরদিকে ওসি মোয়াজ্জেমের এ রায়ে শুধু নুসরাতের পরিবার নয়, স্বস্তি বিরাজ করছে পুরো ফেনীতে। ফেনীর সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া ও মডেল থানা এলাকার মানুষদের মধ্যে বিরাজ করছে স্বস্তি। নুসরাতের সহপাঠী ও সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বলছেন এ রায় ওসির জন্য সঠিক বিচার হয়েছে। নুসরাতকে যে অপমান তিনি করেছেন তার সঠিক বিচার এটি।
উল্লেখ্য নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিশ ছিল। তারপরও এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটলো? দোষিরা কীভাবে পালিয়ে গেলেন। ওই ঘটনার তিনদিন পরও আসামি গ্রেফতারে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার ভাইয়ের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটি রূপান্তরিত হয় হত্যা মামলায়। তখন অভিযোগ ওঠে, ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম নুসরাতের মৃত্যুর বিষয়টি ‘আত্মহত্যা’ বলার চেষ্টা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন